দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ২৩ ডিসেম্বর: “আর এক মুহূর্তও জন্যেও ওঁদের স্কুলে ঢুকতে দেবনা! শূন্য (০) পেয় চাকরি! না জানি, এতোদিনে স্কুলগুলির কি অবস্থা করেছে।” বেআইনিভাবে স্কুলে ১৬৯৮ (স্কুল সার্ভিস কমিশনের হিসেবে ১৬৯৪) জন গ্রুপ-ডি কর্মচারী নিয়োগ মামলায় এরকমই হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরও, আপাতত রাজ্য সরকারের অনুনয়-বিনয়ে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত কোনো ‘নির্দেশ’ জারি করেননি বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। ওইদিন মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন তিনি। বিচারপতি বসু অবশ্য বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর)-ই ১৬৯৪ জন ‘অবৈধ’ শিক্ষা কর্মীর স্কুলে যাওয়া এবং বেতন বন্ধের নির্দেশ দিতে চেয়েছিলেন। তবে, স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং রাজ্য সরকারের তরফে অনুরোধ করা হয়, “এখনই ওদের কাজ থেকে বসিয়ে দিলে, বহু স্কুলে ঘন্টা বাজানো, জানালা-দরজা খোলার লোক পাওয়া যাবে না!” তারপর-ই বিচারপতি বসু অবিলম্বে ওই ১৬৯৪ জন (SSC’র হিসেবে) কর্মী রাজ্যের যে সমস্ত জেলায় (বা, জেলার স্কুলগুলোতে) কর্মরত আছেন, সেই সমস্ত জেলার ডিআই (DI/ District Inspector)-দের মাধ্যমে মামলার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলিকে জানানোর নির্দেশ দেন এবং ২৪ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।
তিনি এও জানান, “এই আদালত ওই কর্মীদের বক্তব্য জানানোর সুযোগ দেবে। তার পরই চাকরি বাতিল নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্তের কথা জানাবে হাই কোর্ট।” কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীদের মতে, ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত অবৈধ ওই ১৬৯৪ জন শিক্ষাকর্মী (গ্রুপ-ডি)’র চাকরি না গেলেও, তারপর অবধারিত ভাবে চাকরি যাবে। ফেরত দিতে হবে বেতনও। শুধুমাত্র একমাস স্কুলগুলিকে এবং ওই শিক্ষাকর্মীদের সময় দেওয়া হয়েছে মাত্র! বিচারপতি বসু এদিন (বৃহস্পতিবার) এও জানিয়ে দেন, অবৈধ উপায়ে চাকরি পাওয়া ওই ১৬৯৪ জন কর্মীর নাম নবম-দশমের শিক্ষক শিক্ষিকাদের মতই ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। সংবাদপত্রেও দিতে হবে বিজ্ঞাপন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে প্রাক্তন বিচারপতি আর.কে. বাগের (রঞ্জিত কুমার বাগের) রিপোর্টেও উল্লেখ করা হয়েছিল, স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে গ্রুপ-ডি তে মোট ৪৪৮৭ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। তার মধ্যে, ১৬৯৮ জনের চাকরি হয়েছে অবৈধ উপায়ে বা নম্বর ও ওএমআরে কারচুপি করে। ওয়েটিং লিস্টে থাকা ৯৮৪ জনের নম্বরে কারচুপি করা হয়েছে এবং প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ (এক্সপায়ার) হওয়ার পর ৬০৭ জনকে বেআইনিভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে, মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে চাকরি পাওয়াদের চাকরি বাতিল করেছে SSC। এবার, ১৬৯৮ জনের (১৬৯৪) চাকরি যাওয়ার পালা। এদিনের শুনানিতে, বাগ কমিটির রিপোর্টকে মান্যতা দিয়েই, সিবিআই- এর আইনজীবী জানিয়েছেন, “১৬৯৮ জনের নিয়োগ অবৈধ উপায়ে হয়েছে। কারচুপি করা হয়েছে OMR এ। এঁরা বেশিরভাগই শূন্য পেয়েছেন সাদা খাতা জমা দিয়ে!” এরপরই, বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু হুঙ্কার দেন, “চিৎকার করে বলুন, যাতে সকলের শুনতে পায় যে, কি হয়েছে!” তিনি এও বলেন, “ওই সব স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের বলুন, ওঁদের যেন স্কুলে আর ঢুকতে না দেওয়া হয়। আর, শিক্ষা দপ্তরও বেতন ফেরত নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকুন।” যদিও, রাজ্য সরকারের অনুরোধে আপাতত ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত কোনো ‘নির্দেশ’ জারি করেননি বিচারপতি। বরং, ১৬৯৪ জনকে মামলার পার্টি হয়ে নিজেদের বক্তব্য জানানোর সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, ২৪ জানুয়ারি শুনানি শেষে গুরুত্বপূর্ণ দিতে পারেন বিচারপতি।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ অক্টোবর: ধেয়ে আসছে 'ঘূর্ণিঝড়' দানা (Dana)! ওড়িশা উপকূলের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, মেদিনীপুর, ২২ অক্টোবর: বিপদের নাম 'দানা' বা 'ডানা' (Dana)। সম্ভাব্য এই…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ অক্টোবর: শোনা গিয়েছিল, নিজেরা প্রার্থী না দিয়ে, 'নাগরিক…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ অক্টোবর: সোমবার ভোরের আলো ফোটার আগেই থানা থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ অক্টোবর:একসময় মেদিনীপুরের প্রয়াত বিধায়ক মৃগেন্দ্রনাথ মাইতির ইলেকশন এজেন্ট…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২০ অক্টোবর: আগামী ২৪ থেকে ২৭ অক্টোবর (২০২৪) পশ্চিম…