দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২০ জুন: চাকরি গিয়েছিল তাঁর মাধ্যমে নিয়োগ হওয়া অবৈধ শিক্ষকদের। এবার, তাঁদের ‘মনিব’ অর্থাৎ স্বয়ং পর্ষদ-কর্তা মানিক ভট্টাচার্যের চাকরি কেড়ে নিল কলকাতা হাইকোর্ট! সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিলেন, অবিলম্বে পর্ষদ সভাপতির পদ থেকে অপসারণ করতে হবে মানিক ভট্টাচার্য-কে। শুধু তাই নয়, আগামীকাল (২১ জুন), মঙ্গলবার, বেলা ২ টোর মধ্যে তাঁকে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে হাজির হতে হবে। কারণ, সোমবার আদালতের নির্দেশ মেনে কোনো তথ্য-ই সঠিকভাবে দিতে পারেনি মানিক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বাধীন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (WBBPE- West Bengal Board of Primary Education)। বরং, নকল সব তথ্য এবং বানানো গল্প ফাঁদায়, যারপরনাই ক্ষুব্ধ হয়েছে আদালত। আজ (সোমবার), জমা দেওয়া সমস্ত তথ্য সেন্ট্রাল ফরেনসিক বিভাগে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আদালতের নির্দেশে ইতিমধ্যে চাকরি গেছে অবৈধভাবে নিযুক্ত হওয়া ২৬৯ জন শিক্ষকের। তাঁদের নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য সোমবার আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু, তার বদলে ‘সন্দেহজনক’ কিছু তথ্য প্রদান করেন পর্ষদের আইনজীবী। তিনি জানান, ২৭৮৭ জন যাঁরা আবেদন করেছিলেন, তাঁদের আবেদনপত্র নেই; নেই OMR এর স্ক্যান কপিও। এইসব কারণেই ক্ষুব্ধ বিচারপতি অবিলম্বে এই সবের ‘নাটের গুরু’ মানিক ভট্টাচার্য-কে অবিলম্বে পদ থেকে অপসারণের নির্দেশ দেন। তাঁকে আগামীকাল আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ-ও দেওয়া হয়েছে। আপাতত, তাঁর অবর্তমানে পর্ষদের সেক্রেটারি বা সচিব রত্না বাগচীকে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে, প্রায় ১৭-১৮ হাজার শিক্ষকের চাকরি যাওয়ার অনুমান করে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় মন্তব্য করেছেন, “আমি মুশকিল আসান! সব সমাধান করে দেব।” অন্যদিকে, সিবিআই আবার ২০১৪ প্রাইমারি টেট থেকে নিয়োগ হওয়া ২০১৭ ও ২০২১-এর সমস্ত শিক্ষকদের তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে পর্ষদের কাছে। সোমবার পর্ষদ-ও সেই মতো পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানা গেছে।