দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ২২ মে: ২০১১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত পাওয়া সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট (OBC Certificate) বাতিল করল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এর ফলে তৃণমূল জমানায় ইস্যু করা প্রায় ৫ লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল হল বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন। বুধবার (২২ মে) কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ওয়েস্ট বেঙ্গল ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস ওয়েলফেয়ার কমিশন অ্যাক্ট ১৯৯৩ অনুযায়ী OBC-দের নতুন তালিকা তৈরি করতে হবে। সেই তালিকা বিধানসভায় পেশ করে চূড়ান্ত অনুমোদন নিতে হবে। ২০১০ সালের আগে যে যে গোষ্ঠীগুলিকে ওবিসি শ্রেণিভুক্ত বলে ঘোষণা করা হয়েছিল সেগুলি বৈধ থাকছে।
হাইকোর্টের ভিভিশন বেঞ্চ এও জানিয়েছে, ইতিমধ্যে যাঁরা চাকরি পেয়ে গিয়েছেন তাঁদের উপর এই রায় কোনও প্রভাব ফেলবেনা। তবে, বাকিরা আর চাকরি প্রক্রিয়ায় ওই শংসাপত্র ব্যবহার করতে পারবেন না। বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট অবশ্য নির্দিষ্ট করে তৃণমূল সরকারের কথা বলেনি। আদালত জানিয়েছে, ২০১০ সালের পরে জারি হওয়া সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করা হবে। ঘটনাচক্রে ২০১১ সাল থেকে রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ফলে, আদালতের নির্দেশ মূলত কার্যকর হতে চলেছে তৃণমূল জমানায় ইস্যু করা ওবিসি সার্টিফিকেটের উপরেই। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, ২০১০ সালের পরে যে সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট তৈরি করা হয়েছে, তা যথাযথ ভাবে আইন মেনে বানানো হয়নি। তাই, ওই শংসাপত্র বাতিল করতে হবে।
উল্লেখ্য যে, বুধবার যে মামলার ভিত্তিতে এই নির্দেশ দিল হাইকোর্ট, সেই মামলাটি দায়ের হয় ২০১২ সালে। মামলাকারীদের তরফে আদালতে হাজির ছিলেন আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত এবং বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরা জানিয়েছেন, ২০১০ সালে একটি অন্তর্বর্তী রিপোর্টের ভিত্তিতে পশ্চিমবঙ্গে ‘অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি’ তৈরি করেছিল বামফ্রন্ট সরকার। ওই শ্রেণির নাম দেওয়া হয় ‘ওবিসি-এ’। তার পরের বছরই ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। নতুন সরকার ক্ষমতায় এসে ওই শ্রেণি সংক্রান্ত চূড়ান্ত রিপোর্ট ছাড়াই একটি তালিকা তৈরি করে এবং আইন প্রণয়ন করে। যার ভিত্তিতেই মামলা করা হয় তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে। ২০১২ সালে হওয়া ওই মামলায় মামলাকারীরা অবিলম্বে ওই আইন খারিজ করার জন্য আদালতে আবেদন জানায়। যুক্তি হিসাবে তাঁরা বলেন, ‘‘তৃণমূল সরকার সে সিদ্ধান্ত নিয়েছে , তা ১৯৯৩ সালের ওয়েস্ট বেঙ্গল ব্যাকওয়ার্ড ওয়েলফেয়ার কমিশনের আইনের পরিপন্থী। এর ফলে সরকারি সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রকৃত পিছিয়ে পড়া অংশের মানুষেরা। তাই সরকার যেন ওই আইন মেনেই শংসাপত্র দেয়।’’ বুধবার (২২ মে) প্রায় ১২ বছর পরে ওই মামলার রায় ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এ নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার (ঝাড়গ্রাম লোকসভার) চন্দ্রকোনা রোডের সভায় বিচারপতিদের এই রায়কে “বিজেপি-র চক্রান্ত” হিসেবে তুলে ধরেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়! কালীপদ সোরেনের সমর্থনে আয়োজিত সভায় অভিষেক বলেছেন, “বিজেপি রাজ্য থেকে ওবিসি সংরক্ষণ তুলে দিতে চাইছে। আজকে কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ আমাদের আমলে ইস্যু করা সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করে দিয়েছে!”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…