দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ৩০ আগস্ট: “দুর্নীতি সামনে আনার জন্যই কি আমার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ? প্রধান বিচারপতির কাছে নালিশ করা হচ্ছে?” মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের ১৭ নং এজলাসে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ফের একবার বোমা ফাটালেন! তাঁর বিরুদ্ধে হাইকোর্টের একাংশ আইনজীবী প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। প্রায় ২১১ জন আইনজীবী লিখি আকারে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। অন্যদিকে, আইনজীবী অরুনাভ ঘোষ আবার সরাসরি প্রধান বিচারপতি’র বেঞ্চে গিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন সোমবার। আর, এই ঘটনার পরই মঙ্গলবার নিজের এজলাসে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, “আমি দুর্নীতি বন্ধ করতে চেয়েছি। গত আড়াই বছরে অনেক রায় দিয়েছি। এস এস সি, প্রাইমারি, মাদ্রাসা’র দুর্নীতি সামনে এনেছি। তাই, আমার বিরুদ্ধে আইন-বিরুদ্ধ ভাবে অভিযোগ করা হচ্ছে প্রধান বিচারপতির কাছে!” আইনজীবীর নামে একাংশ ‘দালাল’ এমনটা করছে বলে মনে করেন তিনি। তবে, তিনি এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন, “আবার বলছি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছি, করব।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগে একের পর এক দুর্নীতি’র পর্দাফাঁস করে একদিকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যেমন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের নয়নের মণি হয়ে উঠেছেন; ঠিক তেমনই সরকার ও সরকার ঘনিষ্ঠ আইনজীবীদের তিনি চক্ষুশূল-ও হয়ে উঠেছেন। কোনো এক ‘রহস্যময়’ কারণে, সেই দলে যোগ দিয়েছেন আইনজীবী অরুনাভ ঘোষ-ও। সম্প্রতি, গত কয়েক বছরে তাঁকে আদালতে তেমনভাবে দেখা না গেলেও, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একের পর এক বিস্ফোরক-নির্দেশের পর তাঁকে আসরে নামতে দেখা গেছে বা আসরে নামানো হয়েছে বলে আইনজীবীদের-ই একাংশ জানিয়েছেন! এরপর, গত ১৮ আগস্ট অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল-কে এজলাসে ডেকেও, রায় প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেওয়ার পর-ই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে আইনজীবী অরুনাভ ঘোষের তীব্র বাদানুবাদ শুরু হয় আদালত কক্ষেই। বিশেষত, ১৭ নং কোর্টে সাংবাদিকদের অবাধ যাতায়াত এবং ভিডিওগ্রাফি করার অনুমতি দেওয়া নিয়ে বিচারপতিকে তীব্র কটাক্ষ করেন আইনজীবী অরুনাভ ঘোষ। তারপরই, গত ২৫ আগস্ট কলকাতা হাইকোর্টের হাতে নিউ সেক্রেটারিয়েটের একটি বহুতল ভবন হস্তান্তর করার অনুষ্ঠানে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-ও ‘মিডিয়া ট্রায়াল’নিয়ে পরোক্ষে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ত-কে আক্রমণ করেন। এরপরই, বিচারপতির বিরুদ্ধে ২১১ জন আইনজীবী’র সই করা চিটি দেওয়া হয়। অবশেষে এসব নিয়ে মুখ খোলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে, তিনি এও জানিয়েছেন, “স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী আমাকে আমার কাজ চালিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে ওইদিন। এরপরও, যে সকল আইনজীবীরা এই সব করছেন তাঁরা ‘দালাল’ ছাড়া কিছুই নয়!” তবে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর ‘লড়াই’ চলবে বলেও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ২২ নভেম্বর: আইআইটি (IIT)-র মতো বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানে অভাব…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ নভেম্বর: দোকান বন্ধ করে রাতেই বেরিয়েছিলেন বাইক নিয়ে।…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…