দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ১৩ মে: পুর নিয়োগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই তদন্তের (CBI Investigation) নির্দেশ দেওয়া পর সেই মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট অবধি। সিঙ্গেল বেঞ্চের সেই নির্দেশে এক সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। একই সঙ্গে রাজ্য সরকারকে রিভিউ পিটিশনেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। একইসঙ্গে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে সেই মামলা সরানো হয়। পরে মামলা যায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে। মামলা নতুন বেঞ্চে যাওয়ার পর সেখানে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয় রাজ্যের তরফে। তবে, বিচারপতি সিনহা দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শেষে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ-ই বহাল রাখেন।

thebengalpost.net
Justice Amrita Sinha:

এই মামলায় রাজ্য প্রশ্ন তুলেছিল, নতুন করে কেন দুর্নীতির কথা বলা হচ্ছে? বিচারপতি অমৃতা সিনহা তাঁর পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন, “নতুন অপরাধ নয়, এটা একটা মিশ্রিত অপরাধ?” অর্থাৎ, পুর নিয়োগ এবং শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। তাই, শেষ পর্যন্ত সিবিআই তদন্তেরই নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা। অন্যদিকে, শুক্রবার কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলাতেও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ-ই বহাল রাখেন বিচারপতি সিনহা। তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘রক্ষাকবচ’ দেয়নি কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবারের শুনানিতে অভিষেকের আইনজীবী কিশোর দত্ত হাই কোর্টের পুরনো নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানান। একই সঙ্গে তৃণমূল নেতাকে অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ দেওয়ার আর্জি জানান। এই সময়ের মধ্যে তদন্তকারী সংস্থা যাতে চরম পদক্ষেপ নিতে না পারেন, তার জন্যও আবেদন করেন অভিষেকের আইনজীবী কিশোর দত্ত। বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানান, সব পক্ষের বক্তব্য না শুনে এই মুহূর্তে রক্ষাকবচ দেওয়া সম্ভব নয়। তিনি বলেন, “আদালতের দরজা ২৪ ঘণ্টা ৭ দিন খোলা থাকবে। প্রয়োজন মনে করলে যখন খুশি আসবেন। কিন্তু কোনও রক্ষাকবচ নয়।” সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।