দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৮ জুন:এসএসসি (SSC)’র পর এবার প্রাইমারি (Primary Recruitment)। সিবিআই (CBI)-কে দায়িত্ব দেওয়া হল ‘দুর্নীতি’র অনুসন্ধানের জন্য। মূলত, চাকরি বিক্রি করার অপরাধে অভিযুক্ত রহস্যময় ব্যক্তি চন্দন মণ্ডল অর্থাৎ রঞ্জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার দুর্নীতির ‘সুগন্ধ’ (সৌরভ) কতদূর অবধি পৌঁছেছে, সেই রিপোর্ট সিবিআই (Central Bureau of Investigation)-কে জমা দিতে হবে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে। আগামী ১৫ জুন বেলা ২ টোর সময় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে মুখ বন্ধ খামে এই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ, বুধবারের শুনানিতে এমনই নজিরবিহীন নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে, তাঁর নির্দেশেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগে সিবিআই তদন্ত চলছে।

thebengalpost.net
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগেও‌ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের:

বুধবার, ২০১৭ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ (২০১৪ টেট) দুর্নীতি মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, এই মামলায় অনুসন্ধান করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অভিযুক্ত চন্দন মণ্ডল অর্থাৎ রঞ্জনকে হেফাজতে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই। আদালতের নির্দেশ, আগামী ১৫ জুন মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দিতে হবে তদন্তকারী সংস্থাকে। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের প্রাইমারি টেট (Primary TET 2014) পরীক্ষায় ফেল করেও অনেকে চাকরি পেয়েছেন, এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে সম্প্রতি মামলা করেছেন সৌমেন নন্দী। মামলাকারীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের বক্তব্য শোনার পরেই এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। শুনানি-পর্বে আইনজীবী ফিরদৌস অভিযোগ করেন, ২০১৪-র প্রাথমিকে ৮৬ জন ফেল করা পরীক্ষার্থী প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেয়েছেন। এই বিষয়ে সম্প্রতি, প্রাক্তন আইপিএস উপেন বিশ্বাস এই চন্দন মণ্ডল বা রঞ্জনের কুকীর্তি ফাঁস করেন মিডিয়ার সামনে। এদিন, সেই তথ্য-ও তুলে ধরেন আইনজীবী। সিবিআই-কে তাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তদন্তের প্রয়োজনে উপেন বিশ্বাস কেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই। অপরদিকে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের আরো একটি মামলায় এদিন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। জানা গেছে, নবম-দশমের গণিত শিক্ষক নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে, তার তদন্ত করবে সিবিআই। ‌ সব মিলিয়ে রাজ্যজুড়ে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় রীতিমতো লেজেগোবরে অবস্থা রাজ্য সরকারের!