দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৭ আগস্ট: কেষ্ট-কন্যা বলে কথা! টেট (Primary TET 2012) পাস করার কোনও প্রয়োজন-ই নেই। প্রয়োজন নেই স্কুলে যাওয়ার-ও! দিব্যি ঘরে বসেই বছর দশেক ধরে মাইনে নিয়ে কাটিয়েছেন। এবার, পড়বি পড় একেবারে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পাল্লায়! ডেকে পাঠিয়েছেন। একেবারে, স্কুলের রেজিস্টার বা হাজিরা খাতা সহ। সঙ্গে অনুব্রত’র আরও ৫ আত্মীয়-কে।‌ তাঁরাও একইভাবে, ‘টেট ফেল’ করে চাকরি পেয়েছেন। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতাটুকুও নেই!

thebengalpost.net
এই ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ :

আগামীকাল দুপুর ৩ টার মধ্যে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে যে ৬ জন ‘টেট ফেল শিক্ষক’কে হাজিরা দিতে হবে, তাঁরা হলেন, যথাক্রমে- সুকন্যা মণ্ডল (অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে), সুমিত মন্ডল (অনুব্রত মণ্ডলের ভাই), অর্ক দত্ত (আপ্ত সহায়ক), সাত্যকি মন্ডল (ভাইপো), কস্তুরী চৌধুরী (ঘনিষ্ঠ আত্মীয়), সুজিত বাগদী (ঘনিষ্ঠ আত্মীয়)। এঁরা প্রত্যেকেই বীরভূমের ‘বেতাজ বাদশা’ অনুব্রত মণ্ডলের বদান্যতায় চাকরি পেয়েছিলেন প্রাথমিকে। তার মধ্যে মেয়ে সুকন্যা আর আপ্ত সহায়ক অর্ক একেবারে ঘরের কাছে কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বাকিরাও মোটামুটি বাড়ির কাছাকাছিই। সুকন্যা, অর্ক সহ মোট ৪ জন বোলপুর ওয়েস্ট সার্কেলে এবং কস্তুরী ও সুজিত বোলপুর ইনটেনসিভ সার্কেলে। এই সমস্ত তথ্য জোগাড় করে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে মামলা করেছিলেন এক চাকরিপ্রার্থী। সব শুনে রীতিমতো ‘চক্ষু চড়কগাছ’ হয় বিচারপতিকে। তাই, এই ৬ জন সহ কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা (টিআইসি) এবং বোলপুর ওয়েস্ট সার্কেলের এস.আই-কে আগামীকাল ডেকে পাঠিয়েছেন তিনি। এদিন, মামলাকারী’র আইনজীবী ফিরদৌস শামিম সংবাদ মাধ্যমের কাছে বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন।

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এও নির্দেশ দিয়েছেন, বীরভূমের পুলিশ সুপারকে সমস্ত ব্যবস্থা করতে হবে সুকন্যা’দের যথাসময়ে কলকাতা হাইকোর্টে পৌঁছে দেওয়ার বিষয়ে। নচেৎ আরো কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন তিনি, এমনটাই জানিয়েছেন বুধবার শুনানিতে। অন্যদিকে, অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৬.৯৭ কোটি টাকার হদিস পেয়েছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, হদিস পাওয়া বিপুল পরিমাণ টাকার অঙ্ক বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন ব্যাঙ্কে মূলত ফিক্সড ডিপোজিট হিসাবে রয়েছে। ওই অ্যাকাউন্টগুলিকে বন্ধ এবং তার লেনদেন বন্ধের জন্য ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গেছে বুধবার বিকেলে। উল্লেখ্য যে, আজ সকালে বোলপুরে অনুব্রতের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিল সিবিআই। তার কয়েক মিনিট পরেই তদন্তকারীরা বেরিয়ে আসেন। সিবিআই সূত্রে জানা যায়, সুকন্যাকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। এর পর বোলপুরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখাতেও যান তদন্তকারীরা। ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলার পর তাঁরা সেখান থেকে বেরিয়ে যান। সূত্রের খবর, ওই ব্যাঙ্কে অনুব্রত ও তাঁর কন্যার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে।

রে
অনুব্রত’র সু-কন্যা: