দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩ মার্চ: বিধায়ক হয়েও প্রার্থী হয়েছিলেন খড়্গপুর পৌরসভা নির্বাচনে। অন্য ৩৪-টি ওয়ার্ডের প্রচারে দেখা না গেলেও, নিজের ৩৩ নং ওয়ার্ডের মাটি কামড়ে পড়েছিলেন নির্বাচনের দিন বিকেল ৫ টা অবধি! তার ফলও পেয়েছেন। ‘কাকা’ জহরের গড়ে ফুটিয়েছেন পদ্ম! তুমুল সবুজ ঝড়ের মধ্যেও প্রবীণ জহর পাল-কে ১০৮ ভোটে পরাস্ত করেছেন খড়্গপুর সদরের বিধায়ক তথা ৩৩ নং ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায় ওরফে হিরণ (Hiranmoy Chatterjee)। কিন্তু, গতকাল, ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই ওই এলাকায় দেখা দিয়েছে ভোট পরবর্তী হিংসা। বুধবার বিকেলে তৃণমূল কর্মী তথা জহর অনুগামীদের সঙ্গে তুমুল অশান্তি হয়। নামাতে হয় বিশাল পুলিশবাহিনী ও র্যাফ। এরপর, আজ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিজেপি’র দুই কর্মীর সঙ্গে ৩৩ নং ওয়ার্ডে হিরণের নির্বাচনী কার্যালয় তথা বিজেপি পার্টি অফিসেই মারধরে জড়িয়ে পড়েন খোদ বিধায়ক তথা এলাকার নব নির্বাচিত কাউন্সিলর হিরণ (Hiran) সহ তাঁর অনুগামীরা। স্বাভাবিকভাবেই এ নিয়ে, দুই পক্ষ পরস্পর পরস্পরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। আর, এই সুযোগে তাঁর নিজের গড় কেড়ে নেওয়া হিরণের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন তৃণমূল নেতা তথা ৩৩ নং ওয়ার্ডের পরাজিত প্রার্থী জহর পালও।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেবেলা হিরণের দলীয় কার্যালয়ে (৩৩ নং ওয়ার্ডের তালবাগিচায় অবস্থিত), তাঁর কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা চলাকালীন, অন্য দুই BJP কর্মী কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে পার্টি অফিসে থাকা প্রায় ৫০ জন মহিলা কর্মী সহ সকল কর্মীদের কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। এনিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, সেই সময় বিজেপির ওই দুই কর্মী, যথাক্রমে- চঞ্চল কর ও গণেশ দে হিরণ-কে ঠেলে দেয়। এরপরই, হিরণের সঙ্গে থাকা কর্মী-সমর্থকরা ওই দুই বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। বিজেপি নেতা চঞ্চল করের অভিযোগ, “এই পার্টি অফিসটি আমার নিজের ঘরেই। গত আগস্ট মাসে আমি দলের হাতে এটা তুলে দিয়েছিলাম। হিরণকেও স্বাগত জানিয়েছিলাম। কিন্তু, আজ সন্ধ্যেবেলা ওই পার্টি অফিসে যেতে আমাদেরকে বলল, পার্টি অফিস থেকে বের হয়ে যাও। এরপর, আমাদের উপরে চড়াও হয় আমাদের দু’জনকে মারধর করে। আমার সহকর্মী তথা অনেক পুরানো বিজেপি কর্মী গণেশ কেউ মারধর করেছে। আমার মোবাইল পর্যন্ত কেড়ে নেয়।” চঞ্চল আরো জানায়, “হিরণের নির্দেশেই আমার উপরে হামলা চালিয়েছে তাঁর কর্মী সমর্থকরা।” যদিও হিরণ্ময় চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “চঞ্চল ও গণেশ নির্বাচনের আগে থেকে স্থানীয় কয়েক জনকে নিয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল। এলাকার মানুষকে হুমকি দিয়ে বলেছিল, নির্বাচনে হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে ভোট দিলে ফল ভালো হবে না। বৃহস্পতিবার পার্টি অফিসে ঢুকেই মহিলা কর্মীদের মারধর করে। এরপরই সকলে মিলে প্রতিরোধ করেছে। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে সমস্ত কিছু জানানো হয়েছে।” এনিয়ে তৃণমূল নেতা জহর পালের বক্তব্য, “গতকাল তো আপনারা দেখলেন তৃণমূল কর্মীদের মারধর করেছে। আর, আজ নিজেদের দু’জন কর্মীকেই মেরেছে বলে শুনলাম! যা পরিস্থিতি ১৯৯৯ সালের মতো এবারও তালবাগিচার সকলে মিলে এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।” সবমিলিয়ে, হিরনের জয়ের পর জহরের গড়ে চরম উত্তেজনা! রাজনৈতিক মহল বলছে, হিরণের এই জয় যেমন তৃণমূলের একাংশ তথা জহর অনুগামীরা মেনে নিতে পারছেনা, ঠিক তেমনই বিজেপি’র একাংশও সহ্য করতে পারছেনা। পরিস্থিতি কোন দিকে এগোয়, সেদিকেই তাকিয়ে খড়্গপুরবাসী।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৫ এপ্রিল: বছরভর নানা রূপে দেখা যায় পুলিশকে। কখনও…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৫ এপ্রিল: "তাকিয়ে আছি সুপ্রিম কোর্টের ১৭ এপ্রিলের শুনানির…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৩ এপ্রিল: একসঙ্গে দু-দুটি বিরল রোগ! দু-তিন বছর আগে…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১২ এপ্রিল: দীর্ঘ প্রায় দুই দশক পর প্রাথমিকে প্রধান…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১১ এপ্রিল: বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ (MBA) পড়ানো হয় সেই…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৯ এপ্রিল: অপেক্ষায় ছিলেন সহকর্মীরা। আশায় বুক বেঁধেছিলেন প্রধান…