দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৮ জুলাই: ২০০৫ সালে চাকরি পেয়েছিলেন গ্যাংম্যান আন্দোলনের জেরে! বছর ৪৫-এর সেই গ্যাংম্যান (বা, ট্র্যাকম্যান) তাপস দাসের নিথর দেহ উদ্ধার হল কংসাবতী (বা, কাঁসাই নদী) থেকে। প্রসঙ্গত, খড়্গপুর শহরের ১৯ নং ওয়ার্ডের খরিদা বিলাসমোড়ের বাসিন্দা তাপস দাস (তপু) বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা ৫৫ নাগাদ কাঁসাই ব্রিজের উপর থেকে নদীতে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন বা তলিয়ে গিয়েছিলেন। এরপরই, তাঁর খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছিল রেল এবং পুলিশের তরফে। গতকাল দুপুর ৩ টা থেকে নামানো হয়েছিল এনডিআরএফ (NDRF) বাহিনী। রাত্রি ১১ টা অবধি অভিযান চালিয়েও দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ‌অবশেষে, শুক্রবার সকাল ৬ টা নাগাদ নদী থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করেছে এনডিআরএফ (NDRF) বাহিনী। এমনটাই জানা গেছে রেলওয়ে সূত্রে।

thebengalpost.net
তাপস দাস (৪৫) :

উল্লেখ্য যে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা ৫৫ নাগাদ আপ (মেদিনীপুর স্টেশনের দিকে যাওয়া) আরণ্যক এক্সপ্রেস (12885) যখন এই কাঁসাই রেলওয়ে সেতু পার হচ্ছিল, তখন রেলের ইঞ্জিনিয়ারিং স্টাফ (ট্র্যাকম্যান) তাপস দাস সহ আরও কয়েকজন রেলকর্মী কাজ করছিলেন। এরপর, ট্রেন থেকে নিরাপদ দূরত্বে সরে যেতে গিয়ে, বছর ৪৫ এর তাপস দাস নদীতে পড়ে যান। বাকিরা অবশ্য নিজেদের নিরাপদে রাখতে সমর্থ হয়েছিলেন। অনুমান করা হচ্ছে, আরন্যক এক্সপ্রেস পারাপারের সময় ব্রিজের ঝাঁকুনিতে (ভাইব্রেশনে) কিংবা নিজকে বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দেওয়ায়, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে গিয়েছিল। সারা দিনরাত ধরে চলেছিল তল্লাশি অভিযান। তাঁর জন্য রাত জেগেছিলেন সহকর্মী, পরিবার সহ খড়্গপুর ও মেদিনীপুরের একাধিক জনপ্রতিনিধি সহ অনেকেই। এরপরই, শুক্রবার সকালে, প্রায় ২০ ঘন্টা পর তাঁর দেহ উদ্ধার হল! সকলের প্রিয় সৎ ও কর্মনিষ্ঠ তপু’র অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা খড়্গপুর -মেদিনীপুর। বাড়িতে দুই নাবালক সন্তান, স্ত্রী সহ পরিজনেরা আছেন! তাঁর দাদা গতকাল-ই জানিয়েছিলেন, “আমরা মেনে নিতে পারছিনা! কি করব কিছুই বুঝে উঠতে পারছিনা।” খড়্গপুরের ‘আমরা বামপন্থী’ সংগঠনের সদস্য তথা গ্যাংম্যান আন্দোলনের অন্যতম নেতা অনিল দাস উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন রেলের কাছে।

thebengalpost.net
তল্লাশি অভিযানের ছবি, দেবনাথ মাইতি :

thebengalpost.net
বিধায়ক দীনেন রায়, অনিল দাস,‌ খড়্গপুর পৌরসভার উপপ্রধান তৈমুর আলি খান সহ অন্যান্যরা রাত জেগে :