দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৬ নভেম্বর: হাসপাতালের সুপারের বিরুদ্ধে ‘অনুপস্থিতির’ অভিযোগ এনেছিলেন তিনি। শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস প্রভাবিত ‘পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন’-এর হাসপাতাল বিভাগের মহকুমা কমিটির মুখ্য উপদেষ্টা সেই দিলীপ সরখেলকেই এবার ‘বহিরাগত’ তকমা দিয়ে, তাঁর বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে হাসপাতালের একটি ঘর ‘দখল’ করে রাখার অভিযোগ তুললেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার ধীমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে পদক্ষেপের জন্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিককে চিঠিও লিখেছেন বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন সুপার। আন্যদিকে, দিলীপ সরখেল জানিয়েছেন, “সেই ১৯৮১ সালে, এই ভবন তৈরির সময়ই তৎকালীন বিধায়ক জ্ঞান সিং সোহমপাল একটি রুম স্টেট গভর্মেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশন (কংগ্রেস প্রভাবিত)-কে এবং অপর একটি রুম রাজ্য কোঅর্ডিনেশন কমিটিকে (বাম প্রভাবিত) দিয়েছিলেন। স্টেট গভর্মেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশনই এখন রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন (তৃণমূল প্রভাবিত)। আমাদের পাশের রুমেই আছে কোঅর্ডিনেশন কমিটির অফিস। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের সংগঠনের মহকুমা কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে নানা কাজ করার জন্য আমাকে এই অফিসে আসতে হয়। আমরা রোগী এবং রোগীর পরিজনদেরও নানাভাবে সহয়তা করি। এখন উনি চাইলে আমাদের জেলা কমিটিকে চিঠি লিখতে পারেন। জেলা কমিটি বললেই রুম ছেড়ে দেব আমরা। কারণ এটা দিলীপ সরখেলের ব্যক্তিগত অফিস নয়।”
অপরদিকে, হাসপাতাল সুপারের দাবি, এরকম কোন কাগজপত্র তিনি পাননি! তাঁর মতে, “উনি একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। ১০ বছর আগেই অবসর নিয়েছেন। সেই হিসেবে হাসপাতালে উনি ‘বহিরাগত’ ছাড়া আর কিছুই নয়। আর জি কর কাণ্ডের পর স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বলে দেওয়া হয়েছে, হাসপাতালে কোনভাবেই বহিরাগতদের ঢুকতে দেওয়া যাবেনা। সেখানে উনি আউটডোর সংলগ্ন একটি রুম দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রেখেছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি পদক্ষেপ করার জন্য।” যদিও, এই বিষয়ে পদক্ষেপের জন্য সুপারের ঘাড়েই দায় ঠেলেছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী। সুপারের বিরুদ্ধে হাসপাতালে ‘অনুপস্থিতি’র অভিযোগ এনেছিলেন বলেই, প্রতিহিংসাবসত সুপার এই আচরণ করছেন বলে দাবি দিলীপ সরখেলের। ঘটনা ঘিরে যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে।