দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩০ মে: মঙ্গলবার সুমিত দাস নামে রেশমি মেটালিক্স কারখানার এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল বলে অভিযোগ। বুধবার রেশমি গ্রুপেরই সহযোগী সংস্থার অধীন ওড়িশা মেটালার্জিক্যাল কারখানার শ্রমিক রাহুল কুমারের মৃত্যু হয়! আর তারপরই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মৃত রাহুলের সহকর্মী বা শ্রমিকরা হামলা চালান পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর গ্রামীণের গোকুলপুরে অবস্থিত ওড়িশা মেটালার্জিক্যাল কারখানায়। ভাঙচুর করা হয় কারখানার মূল ফটকে থাকা সিসি ক্যামেরা থেকে শুরু করে অফিসের এসির লাইন, কাঁচের জানালা-দরজা, একটি অ্যাম্বুলেন্স, তিনটি চারচাকা গাড়ি প্রভৃতি। ঘটনাস্থলে খড়্গপুর গ্রামীণ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছলে পুলিশকে লক্ষ্য করেও ইঁট ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি! যদিও, ঠিক কি কারণে এই হামলা, তা তাঁরা বুঝতে পারছেন না বলে বৃহস্পতিবার দুপুরে জানান কারখানার অ্যাসিস্ট্যান্ট এইচ.আর।
এই বিষয়ে শ্রমিকরা কোন বিবৃতি নিতে না চাইলেও, স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার রেশমি মেটালিক্সের সহযোগী এই ওড়িশা মেটালার্জিক্যাল কারখানায় কর্মরত শ্রমিক রাহুল কুমারের মৃত্যু হয় ওপর থেকে পড়ে গিয়ে। তাঁর বাড়ি বিহারের সূর্যপুর এলাকায়। মঙ্গলবার মৃত্যু হওয়া সুমিতের বাড়ি সাঁকলাইল থানার টিকায়েতপুর গ্রামে। প্রায়ই ধরনের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ শ্রমিকদের! টাকা বা ক্ষতিপূরণের বিনিময়ে মিটিয়ে নেওয়া হয়! তবে, সহ্যের সীমা অতিক্রম করায় বৃহস্পতিবার তাঁরা বিক্ষোভ দেখান বলে দাবি। শ্রমিকদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেই দাবি তুলেই এই বিক্ষোভ, ভাঙচুর বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওই কারখানায় খড়্গপুর গ্রামীণ থানার তরফে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।