দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৬ ফেব্রুয়ারি: আর মাত্র কয়েক ঘন্টা পরেই নির্বাচন। তার আগেই গভীর রাতে নাটকীয় পরিস্থিতি রেলশহর খড়্গপুরে! মেদিনীপুরের সংসদ তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের বাংলোতে, নির্বাচন কমিশনের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট-কে সঙ্গে নিয়ে পৌঁছে গেল খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ। দিলীপ-কে বাংলো ছাড়তে বল হল! নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকের বক্তব্য, উনি এখানকার ভোটার নন এবং উনি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তাই, নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী উনি এখানে থাকতে পারবেন না! সেটাই ওনাকে জানানো হয়েছে। যদিও, দিলীপ ঘোষের বক্তব্য হলো, “আমি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নই, আমি এখানকার সাংসদ এবং এটাই আমার বাসস্থান। রেলশহরের অনেক সাধারণ মানুষ ভোটার নন, তাঁরা যদি কর্মসূত্রে এখানে থাকতে পারে, এখানের সাংসদও থাকতে পারে। তাই, অন্যান্য নির্বাচনের সময়ও যেহেতু এখানে ছিলাম, এবারও তাই করব। আমি এখানেই থাকবো। ওনাদেরকে তা জানিয়ে দিয়েছি।”
এই ঘটনায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা দেখছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। তাঁর বক্তব্য, “রাজনৈতিক লড়াই লড়তে না পেরে, পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনকে চাপ দিয়ে তৃণমূল এইসব করছে। আর পুলিশ দেখতে পাচ্ছে না চারপাশে শাসক দলের গুন্ডারা বন্দুক নিয়ে ঘুরছে! এতরাতে এখানে এসেছে ঝামেলা করতে।” অন্যদিকে, এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, “নির্বাচন কমিশন তার কাজ করছে। পুলিশও নিজের কাজ করছে। এনিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। অশান্তি বাধানোর জন্য কেউ যদি বসে থাকে বা অনৈতিক কাজ করার চেষ্টা করে নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ প্রশাসন তার পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।”