দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৮ নভেম্বর: যেন নিখুঁত এক ক্রাইম থ্রিলার! খালাসি’র স্ত্রী’র সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন ট্রাকের চালক। খালাসিকে ‘খুন’ করে তাই পথের কাঁটা সরাতে চেয়েছিলেন দু’জনে মিলে। পরিকল্পনামাফিক তাই গত ২৫ নভেম্বর (শুক্রবার) ভোর রাতে, খড়্গপুর গ্রামীণ সংলগ্ন জকপুর এলাকায় জাতীয় সড়কের উপর খালাসিকে স্ক্রু-ড্রাইভার দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন চালক। হয়তো ভেবেছিলেন মরেও গেছে! এরপরই, জাতীয় সড়কের উপর ছিনতাইয়ের চেষ্টা এবং গুলি চলার গল্প সাজিয়েছিলেন ট্রাক চালক আমিনুর হক। পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে, ট্রাকের সামনের কাঁচে স্ক্রু-ড্রাইভার দিয়ে ফুটোও করেছিলেন! তবে, তাতেও শেষ রক্ষা হলোনা! প্রেমিকা (অর্থাৎ খালাসির স্ত্রী) সহ ধরা পড়ে গেলেন পুলিশের জালে। অন্যদিকে, কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন খালাসি! খালাসির স্ত্রী তামান্না বিবি এবং চালক আমিনুর হককে সোমবার গ্রেপ্তার করে মেদিনীপুর আদালতে তুলেছিল খড়্গপুর গ্রামীণ থানা। বিচারক ৯ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেছেন বলে জানা গেছে জেলা পুলিশ সূত্রে। সোমবার বিকেলে একটি প্রেস বিবৃতি জারি করে জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার জানিয়েছেন, “মাত্র ৩৬ ঘন্টার মধ্যে এই ভয়ঙ্কর চক্রান্ত বা খুনের চেষ্টার ষড়যন্ত্র রহস্য উন্মোচন করে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করার জন্য খড়্গপুর মহাকুমা পুলিশ তথা খড়্গপুর গ্রামীণ থানার পুরো টিমকে ১০ হাজার টাকা আর্থিক পুরস্কারে সম্মানিত করা হচ্ছে জেলা পুলিশের তরফে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২৪ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) গভীর রাতে বা ২৫ নভেম্বর (শুক্রবার) ভোর রাতে খড়্গপুর লোকাল থানার অন্তর্গত জকপুর এলাকায়, ৬০ নং জাতীয় সড়কের উপর ঘটনাটি ঘটে। সেই সময় জানা গিয়েছিল, দু’জন দুষ্কৃতী মোটরবাইকে করে এসে ট্রাক ছিনতাই করার চেষ্টা করে। বাধা পেয়ে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। দু’তিন রাউন্ড গুলি চলে বলে অনুমান করা হয়। ট্রাকের খালাসি নাজমুল সাকিন-কে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে মেদিনীপুর মেডিক্যাল ও পরে এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাঁকে খুব কাছ থেকে গুলি চালানো হয় বলে পুলিশকে জানায় অপেক্ষাকৃত কম আহত ট্রাকের চালক। এরপরই, তদন্ত নেমে পুলিশ জানতে পারে, মেডিক্যাল রিপোর্টে গুলির আঘাতের কথা উল্লেখ নেই! তবে, মাথায় গভীর ক্ষত নিয়ে এই মুহূর্তে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন কেশপুর ব্লকের মুগবসান এলাকার বাসিন্দা তথা ট্রাকের খালাসি নাজমুল। এদিকে, ট্রাকের সামনের কাঁচেও যে দুটি গুলি চলার মতো দাগ দেখতে পায় পুলিশ, তা নিয়েও সন্দেহ হয়। এরপরই, ট্রাকের চালককে ক্রমশ জিজ্ঞাসবাদ করতেই নানা অসংগতি ধরা পড়ে! এরপর, খালাসির স্ত্রী’র সঙ্গে তাঁকে বসিয়ে জেরা করে পুলিশ। জেরায় ক্রমশ ভেঙে পড়েন দু’জনই। সত্য উদঘাটিত হয়। দু’জনই স্বীকার করেন, সম্পর্কের কথা। এমনকি, খালাসির মৃত্যুর পর দু’জনে বিয়ে করার পরিকল্পনা করেছিলেন বলেও জানান। পথের কাঁটা সরাতেই তাই নাজমুল-কে হত্যার চেষ্টা! এই মুহূর্তে কলকাতার হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। এদিকে, তাঁর স্ত্রী ও চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন এলাকাবাসী।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…