দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ১৯ মার্চ: “পৌরসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে বলে গিয়েছিলেন ‘এই রাস্তা দিয়ে আপনারা হাঁটেন কি করে?’ যেকোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটবে। উনি নিজেও হাঁটতে পারছিলেন না! তারপর বলেছিলেন, কাউন্সিলর হলেই ঢালাই রাস্তা করে দেবেন। অথচ দু’বছর হয়ে গেল, কোথাও কিছু নেই!” সোমবার দুপুরে ঘাটাল লোকসভা আসনের বিজেপি প্রার্থী তথা খড়্গপুর সদরের বিধায়ক ও খড়্গপুর পৌরসভার ৩৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায়ের (ওরফে হিরণের) বিরুদ্ধে ঠিক এভাবেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ৩৩নং ওয়ার্ডের রবীন্দ্রপল্লী এলাকার বাসিন্দারা! তাঁদের কটাক্ষ, “উনি খড়্গপুরের বিধায়ক এবং এই ওয়ার্ডের (৩৩নং) কাউন্সিলর। তারপরেও একটা রাস্তা তৈরী করতে পারেননি! আর উনি গেছেন ঘাটালে দেবের বিরুদ্ধে লড়াই করতে!” এদিনের বিক্ষোভের নেতৃত্বে আবার ছিলেন স্থানীয় দক্ষিণ মণ্ডল বিজেপি যুব মোর্চার সহ-সভাপতি প্রসেনজিৎ সিং।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, খড়্গপুর শহরের ৩৩নং ওয়ার্ডের রবীন্দ্রপল্লী থেকে তালবাগিচা পর্যন্ত যাওয়ার একটি রাস্তা এখনও কাঁচা। ২ দিনের নামমাত্র বৃষ্টিতেই জমেছে কাদা! এলাকাবাসীদের অভিযোগ, এই রাস্তা দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স সহ চারচাকা গাড়ি প্রবেশ করতে পারেনা। এলাকার কারুর কিছু হলে, চ্যাংদোলা করে বা খাটিয়ায় করে কয়েকশো মিটার নিয়ে গিয়ে, তারপর অ্যাম্বুলেন্স বা চারচাকা গাড়িতে তুলতে হয়! পৌরসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে BJP বিধায়ক তথা ৩৩নং ওয়ার্ডের প্রার্থী হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায় এলাকাবাসীদের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ ঘোচানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছিলেন বলে দাবি। হিরণের আশ্বাসে ‘আস্থা’ রেখে বাসিন্দারা তাঁকে বিপুল ভোটে জয়ীও করেছিলেন! ২০২১ সালে তৃণমূলের প্রদীপ সরকারকে হারিয়ে খড়্গপুর সদরের বিধায়ক হওয়ার পর, ২০২২ সালের পৌরসভা নির্বাচনে মানুষের ভোটে বর্ষীয়ান জহর পালকে পরাজিত করে ৩৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলরও হয়েছিলেন হিরণ ওরফে হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু, তারপর তিনি আর প্রতিশ্রুতি রাখেননি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের!
এদিকে, হিরণকেই আবার বিজেপি-র তরফে ঘাটাল লোকসভা আসনের প্রার্থী করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিদায়ী সাংসদ দেবের বিরুদ্ধে। সোমবার খড়্গপুর শহরের ৩৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা তাই কটাক্ষ করেছেন, “খড়্গপুরের বিধায়ক, কাউন্সিলর হয়েই কাজ করতে পারেননি; আর উনি গেছেন ঘাটালে দেবের বিরুদ্ধে লড়াই করতে!”এলাকাবাসীদের এই বিক্ষোভে আবার নেতৃত্ব দিয়েছেন বিজেপি-রই স্থানীয় যুব মোর্চার সহ-সভাপতি প্রসেনজিৎ সিং। তাঁর দাবি, “হিরণ দা আমাদের বলে গিয়েছিলেন, এই রাস্তা করে দেবেন। এখন আমাদের এই কাদা রাস্তায় ফেলে দিয়ে, উনি আবার গেছেন ঘাটালে! কি করবেন উনি ঘাটালের জন্য? খড়্গপুরের জন্যই কিছু করতে পারেননি!” অপরদিকে, সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টে সাংবাদিকদেরই আক্রমণ করেন হিরণ। ঘাটালে প্রচার চলাকালীন এই প্রশ্ন শুনেই পাল্টা আক্রমণের পন্থা নেন হিরণ! বলেন, “সব মিথ্যে! রাস্তা হয়ে গেছে। আপনার মতো মিথ্যে সাংবাদিককে নিয়ে আমি এক্ষুনি যাব চলুন, কোথায় রাস্তা হয়নি! আমি চ্যালেঞ্জ নিচ্ছি, খড়্গপুরে রাস্তা হয়ে গেছে! চলুন আমার সঙ্গে।” হিরণ অবশ্য খড়্গপুরে আসেননি সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত! তবে, খানাখন্দে ভরা রাস্তার উপরে দাঁড়িয়ে সোমবার দুপুরেই যে আন্দোলন করেছেন বিজেপি যুব মোর্চার কর্মীবৃন্দ থেকে শুরু করে এলাকাবাসী; তা মিডিয়ার দৌলতে দেখতে পেয়েছেন সচেতন শহরবাসী। যদিও, সাংবাদিকদের ক্যামেরাকেও ‘মিথ্যে’ প্রমাণ করার ‘চ্যালেঞ্জ’ নিয়েছেন হিরণ!
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ২২ নভেম্বর: আইআইটি (IIT)-র মতো বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানে অভাব…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ নভেম্বর: দোকান বন্ধ করে রাতেই বেরিয়েছিলেন বাইক নিয়ে।…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…