thebengalpost.net
খড়্গপুর শহরের রাস্তা :

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৩ জানুয়ারি: “প্রধানমন্ত্রী আর মুখ্যমন্ত্রী খড়্গপুরের উন্নয়নের জন্য শয়ে শয়ে কোটি টাকা পাঠিয়েছেন! সেই সব টাকা আত্মসাৎ করে উনি ইতালি থেকে আনা মার্বেল দিয়ে বাড়ি বানিয়েছেন, বাড়িতে সুইজারল্যান্ডের আলো! টুসকি মারলে বাথরুমের দরজা খোলে! খড়্গপুরের মানুষকে ৭ বছর ধরে ঠকিয়েছেন। উন্নয়নের টাকা ফেরত গেছে! কিছুদিন আগেও প্রধানমন্ত্রী আর মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো টাকা ফেরত গেছে। রাজ্যের অন্যতম বৃহৎ পৌরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে শুধু দুর্নীতি করেছেন! ওনাকে মানুষ চেয়ারম্যান করে ভুল করেছেন। এবারের ভোটে মানুষ ওনাকে বিসর্জন দেবেন। ওনার বাড়ির মাটি খুঁড়ে মানুষ টাকা বের আনবে!” হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ (Whtsapp Group) ছাড়ার ঠিক ১৯ দিনের মাথায় খড়্গপুর শহরে পা রেখেই খড়্গপুর পৌরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারপারসন প্রদীপ সরকারকে এমনই ‘বেনজির’ ভাষায় আক্রমণ করেন বিধায়ক হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায় ওরফে হিরণ (Hiranmoy Chatterjee)। একজন আমজনতার ‘নেতা’ হিসেবে এদিন খড়্গপুর শহরে পৌঁছেই দেশনায়ক নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু’র জন্মদিবস পালন করতে তিনি পৌঁছে যান খড়্গপুর শহরের ১০ নং ওয়ার্ডের আদিবাসী অধ্যুষিত ভূঁইয়াপাড়াতে। তবে, ওই পাড়ায় পৌঁছনোর রাস্তা দেখেই মাথা ‘গরম’ হয় বিধায়কের! একে বৃষ্টি, তার উপর খানাখন্দে ভরা রাস্তা। চরম ক্ষুব্ধ বিধায়ক!

thebengalpost.net
খড়্গপুর শহরের রাস্তা :

আদিবাসী মানুষজনদের সাথে ‘পরাক্রম দিবস’ পালনের পর সাংবাদিকদের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিধায়ক বলেন, “স্বাধীনতার ৭৫ বছর, আর নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু’র ১২৫ তম জন্মদিবসের পরও রাজ্যের অন্যতম বৃহৎ পৌরসভার এই দশা! রাস্তা হয়নি, কোনো উন্নয়ন হয়নি। সব টাকা উনি আত্মসাৎ করেছেন। আর, কাজ করতে পারেননি বলে টাকা ফেরত গেছে। শুধু নিজের রাজপ্রাসাদ বানিয়েছেন কোটি কোটি টাকা দিয়ে। কোথায় গেল সব উন্নয়নের টাকা? মানুষ কিন্তু টাকা মাটি খুঁড়ে বের করে আনবে। এবারের ভোটে মানুষ ওনাকে বিসর্জন দেবেন।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বঙ্গ বিজেপি গুরুত্ব দেয়নি অভিযোগ করে, গত ৪ জানুয়ারি তিনি রাজ্য বিজেপির সমস্ত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। তাঁকে নিয়ে বিতর্ক ছিলই! তবে, সেই সমস্ত বিতর্ক দূরে সরিয়ে একজন আমজনতার ‘নেতা’ হিসেবে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম দিবসে রীতিমতো চালিয়ে খেললেন হিরণ। তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক ও খড়্গপুর পৌরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপারসন প্রদীপ সরকার-কে ‘বেনজির’ আক্রমণ করলেন। অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই প্রদীপের বাড়িতে গিয়েই এর আগে সৌজন্যে দেখিয়ে এসেছিলেন সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তবে, কি ফের দিলীপের উল্টো স্রোতে হেঁটে হিরণ নিজের জায়গাতেই ‘অনড়’ থাকলেন! প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে প্রদীপ সরকারের বক্তব্যতেও যেন সেই ইঙ্গিত! প্রদীপ (Pradip Sarkar) বললেন, “হিরণ কোন দলে আছে আগে সেটা ঠিক করুক। এক তো নিজের দলে আর সাংসদের কাছে পাত্তা পায়না, কাছে চাইলে খড়্গপুরের মানুষও পায়না। দিলীপ বাবুর গোষ্ঠীর সঙ্গে মারপিট চলে প্রকাশ্য রাস্তায়! উনি তো করোনা’র ভয়ে ঘরে ঢুকে ছিলেন, ৪ বছর তাঁর কোন সিনেমা-সিরিয়ালও নেই! আমার প্রশ্ন হিরণের এই বিলাসবাহুল্য কিভাবে এখনো বজায় আছে? কোথা থেকে আসছে টাকা? আগে খড়্গপুরের মানুষের জন্য কাজের কাজ কিছু করে দেখাক, তারপর এসব ভাঁওতাবাজি কথা বলবে! জানেই না ওই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর কে, কেন রাস্তা হয়নি। খড়্গপুরের মানুষ সব জানেন, কে কাজের লোক আর কে ডায়লগের লোক!”

thebengalpost.net
জনতার মাঝে খড়্গপুরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়: