দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ১৮ ফেব্রুয়ারি:যে সমস্যা মেটেনি গত ১৫০ বছরেও, তাই মিটলো মাত্র ১৩ দিনে! শাসকদলের ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ (সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক) সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর গ্রামীণ বিধানসভা এলাকার মাতকাতপুরের গ্রামের (অ্যানিকাট পাড়া) ২০৯টি পরিবার শুক্রবার বিকেলে জমির পাট্টা পেলেন নিজেদের হাতে। শুক্রবার বিকেলে খড়্গপুর-১ ব্লকের বিডিও অফিস প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিক ভাবে জমির পাট্টার কাগজ তুলে দেওয়া হল প্রাপকদের হাতে। আপ্লুত গ্রামবাসীরা।
পাট্টা পেয়ে উচ্ছ্বসিত এলাকার বাসিন্দারা। ঊর্মিলা রায় নামে এক গ্রামবাসী বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে অসংখ্য ধন্যবাদ। প্রায় ১৫০ বছর ধরে বসবাস করেও নদীর ধারে বাড়ি হওয়ায় পাট্টা পায়নি আমাদের পূর্বপুরুষ। আমরাও এত দিন সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলাম। গত ৪ ফেব্রুয়ারি উনি দেখে গিয়েছিলেন। আর আজ (১৭ ফেব্রুয়ারি) জমির পাট্টা পেলাম। খুব ভাল লাগছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ।” উল্লেখ্য যে, চলতি মাসের ৪ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুরের আনন্দপুরে সভা করতে যাওয়ার পথে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর এক নম্বর ব্লকের মাতকাতপুর এলাকায় হঠাৎ করে গাড়ি থেকে নেমে এলাকাবাসীদের সমস্যার কথা জানতে চেয়েছিলেন অভিষেক ব্যানার্জি। এলাকাবাসীদের সবথেকে বড় সমস্যা ছিল দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা জমির জন্য পাট্টার আবেদন করেছিল, কিন্তু তা পাননি। ফলে বঞ্চিত হচ্ছিলেন সমস্ত ধরনের সরকারি পরিষেবা থেকে। অভিষেক ব্যানার্জি সেই কথা শোনার পরই সেখান থেকে তিনি সেচ দফতরের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক-কে ফোন করে জানান এলাকাবাসীদের সমস্যার কথা। দ্রুত সমস্যা মেটানোর জন্য আবেদন করেন। মাত্র ১৩দিনের মধ্যেই কাজ হল! শুক্রবার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিধায়কদের উপস্থিতিতে পাট্টা তুলে দেওয়া হয় ২০৯টি পরিবারের হাতে।