দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ২৩ মে: শহরের মাঝেই চোরাই লোহা বা আইরন স্ক্র্যাপের গোডাউন! বছরের পর বছর ধরে চলছে অবৈধ ব্যবসা। অবশেষে পুলিশের জালে গোডাউনের মালিক। তিনি আবার শাসকদলের এক প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন ভাইস-চেয়ারম্যান আত্মীয় বলে জানা যায়। ট্রাক ভর্তি আইরন স্ক্র্যাপ বা লোহার স্ক্র্যাপ খড়্গপুর থেকে হাওড়ায় পাচার করার সময় হাতেনাতে তাকে পাকড়াও করেছে খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ। প্রায় ৮ হাজার কেজি অবৈধ (বা, চোরাই) আইরন স্ক্র্যাপ বাজেয়াপ্ত করেছে খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে সেখ নওসাদ নামে গোডাউনের ওই মালিক এবং ট্রাক ড্রাইভার পরম দেও যাদবকে। সোমবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার দু’জনকেই আদালতে তোলা হলে, বিচারক ৫ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেছেন।
জানা যায়, খড়্গপুর শহরের পাঁচবেড়িয়া এলাকায় অবস্থিত ওই গোডাউন থেকে হাওড়ায় পাচার করা হতো অবৈধ বা চোরাই লোহার স্ক্র্যাপ (স্ক্র্যাপ আইরন)। বছরের পর বছর ধরে চলছিল এই অবৈধ ব্যবসা। সোমবার রাতে খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশের কাছে খবর যায় ট্রাকে লোড করা হচ্ছে স্ক্র্যাপ আইরন। কিছুক্ষণের মধ্যেই খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ গিয়ে অভিযান চালায়। ট্রাক ড্রাইভারকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে কোনো সদুত্তর না পেয়ে, গোডাউনে হানা দেয় পুলিশ। আটক করা হয় সেখ নওসাদ নামে গোডাউনের ওই মালিককে। পুলিশ তার কাছ থেকে বৈধ কাগজপত্র দেখতে চান। কিন্তু, কোনোরকম কাগজপত্র দেখাতে না পারায়, পাঁচবেড়িয়া এলাকার (৪ নং ওয়ার্ড) সামসের চকের বাসিন্দা নওসাদকে গ্রেফতার করা হয়। বছর ৫০’র নওসাদ খড়্গপুরেরই শাসকদলের এক প্রাক্তন কাউন্সিলরের আত্মীয় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। ট্রাক ভর্তি লোহা বাজেয়াপ্ত করা হয়। যার আনুমানিক ওজন ১৫১৯০ কেজি বা ১৫১.৯ কুইন্টাল। এর মধ্যে, লোহার ওজন ৭৯১০ কেজি (প্রায় ৮০ কুইন্টাল)। অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকার অপরাধে গ্রেফতার করা হয় হাওড়ার (ঘুসুড়ি) বাসিন্দা পরম দেও যাদব (৪২) নামে ওই ট্রাক চালককেও। সিল করা হয় সেখ নওসাদের ওই গোডাউন। পুলিশ ২ জনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।