দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১১ এপ্রিল: খড়্গপুর পৌরসভার নতুন পৌরপ্রধান বা চেয়ারম্যান (Chairman) হলেন কল্যাণী ঘোষ। তিনি পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞ কল্যাণী-কেই চেয়ারম্যান হিসেবে বেছে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার বেলা ১টা নাগাদ মেদিনীপুর শহরে অবস্থিত দলের জেলা কার্যালয় থেকে তাঁর নাম ঘোষণা করলেন দলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা। জানিয়েছেন, “শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে কল্যাণী দি’র নামেই সিলমোহর দেওয়া হয়েছে। উপ পৌরপ্রধান বা ভাইস চেয়ারম্যান থাকছেন যথারীতি তৈমুর আলি খান।” আজ, মঙ্গলবার-ই দায়িত্ব নেবেন কল্যাণী। এর ফলে, প্রায় চার মাস পর স্থায়ী চেয়ারম্যান পেলেন খড়্গপুর বাসী। গত ২১ ডিসেম্বর (২০২২) দলীয় নির্দেশে প্রদীপ সরকার ইস্তফা দিয়েছিলেন। তারপর প্রায় চার মাস ধরে দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান তৈমুর আলি খান।

thebengalpost.net
দলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা অভিনন্দন জানালেন কল্যাণী ঘোষ-কে :

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বর মাসে তৎকালীন চেয়ারম্যান প্রদীপ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন দলের ২১ জন (২৫ জনের মধ্যে) কাউন্সিলর। ২০২২ এর পৌর নির্বাচনে ৩৫ আসন বিশিষ্ট খড়্গপুর পৌরসভায় তৃণমূল কংগ্রেস ২০-টি আসন জিতলেও, পরে বিভিন্ন দল (সিপিআই, কংগ্রেস ও নির্দল) থেকে আরও ৫ জন যোগ দিয়েছিলেন। সবমিলিয়ে ২৫ জনের মধ্যে ২১-জনই ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করেছিলেন প্রদীপের বিরুদ্ধে। আর, এই বিদ্রোহের নেতৃত্বে ছিলেন প্রবীর ঘোষ, কল্যাণী ঘোষ, অপূর্ব ঘোষ, রীতা পান্ডে (রবিশঙ্কর পান্ডের স্ত্রী), নমিতা চৌধুরী (দেবাশীষ চৌধুরীর স্ত্রী) প্রমুখ। বাধ্য হয়েই দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রদীপ সরকারকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাঁকে দলের সাংগঠনিক প্রয়োজনে কাজে লাগানো হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত বহু টালবাহানার পর ২১ ডিসেম্বর (২০২২) ইস্তফা দিয়েছিলেন প্রদীপ। তার পর থেকেই চেয়ারম্যান-বিহীন ছিল খড়্গপুর পৌরসভা। এ নিয়ে আপামর খড়্গপুর বাসী থেকে একাধিক কাউন্সিলর ক্ষোভে ফুঁসছিলেন! একের পর এক উন্নয়নমূলক কাজ থমকে ছিল বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত বর্ষীয়সী কাউন্সিলর কল্যাণী ঘোষ-কেই চেয়ারম্যান হিসেবে বেছে নিল দল। এ প্রসঙ্গে এও উল্লেখ্য যে, খড়্গপুর পৌরসভার প্রথম মহিলা পৌরপ্রধান বা চেয়ারম্যান (Chairman) হিসেবে দায়িত্ব নিতে চলেছেন কল্যাণী ঘোষ।