দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ৯ ফেব্রুয়ারি: রোমান্টিক হিরো হিসাবেই টলিউডে পরিচিত ছিলেন হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায় ওরফে হিরণ। প্রথম সাফল্য ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’ সিনেমায়। তারপর, কিছু ‘অ্যাকশন’ সিনেমা করলেও, হিরণের স্বভাবসুলভ মিষ্টি ব্যবহার আর হাসি তাঁর উপর ‘অ্যাকশন হিরো’ নয়, ‘রোমান্টিক হিরো’র তকমাই ফেলে দিয়েছে। সেই তকমা নিয়েই রাজনীতির ময়দানে নেমেছিলেন হিরণ। মন জয় করেছিলেন খড়্গপুরবাসীর। এবার ফের নতুন যুদ্ধে অবতীর্ণ! সুদূর কলকাতা থেকে খড়্গপুরের নাগরিক হয়ে, একেবারে নিজের ওয়ার্ডের (৩৩ নং) কাউন্সিলর হওয়ার যুদ্ধে নেমে পড়েছেন। আর, সেই স্বভাবসুলভ ব্যবহার বজায় রেখেই, তাঁর প্রবল প্রতিপক্ষ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা জহর পাল-কে প্রণাম জানিয়েই যুদ্ধ শুরু করলেন হিরণ। আর, এই ঘটনার সাক্ষী থাকলেন হিরণের বিধানসভার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রদীপ সরকার। প্রসঙ্গত, ব্যবহার ও সৌজন্য দেখানোতে, এর আগেও ‘মিনি ইন্ডিয়া’র মন জিতেছেন হিরণ থেকে প্রদীপ সকলেই। তবে, হিরণের এবারের যুদ্ধ সহজ না হলেও, এই ‘ব্যবহার’ই তাঁকে ফের কিছুটা এগিয়ে দিতে পারে বলে মনে করছে রেল শহর!
এদিকে, গায়ে হাত রেখে ‘ভালোবাসা’ ছড়িয়ে দিলেও, আশীর্বাদ দেওয়ার দায়িত্ব জহর ছাড়লেন জনগণের উপরই! বিজ্ঞ নেতা বললেন, “সৃষ্টিকর্তা সব ঠিক করে রেখেছে। বিধান ঠিক হয়েই আছে, শুধু ফল প্রকাশের অপেক্ষা মাত্র! আমার আশীর্বাদ না অভিশাপে কিছু এসে যাবে না, এই যুদ্ধে জনগণের আশীর্বাদই সব।” এও জানিয়েছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিকরা মনে করেন, মানুষের আশীর্বাদ-ই সব।” এই ওয়ার্ডের অপ্রতিদ্বন্দ্বী জহর ঠারেঠোরে বোঝাতে চাইলেন, ইতিমধ্যে যা উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে, তার উপরই নির্ভর করে জনগণ ভোট দেবে। যদিও, এই ওয়ার্ডের লড়াই সহজ হবে না জহরের পক্ষে। হিরণ নিজে বিধায়ক এবং কাজের মানুষ হিসেবে জনপ্রিয় হয়েছেন রেল শহরে। আছেন বামেদের তরুণ তুর্কি ‘রেড ভলান্টিয়ার’ নেতা মিঠুন দে এবং আমরা বামপন্থীদের নেতা মনোজ ধরও। কাজেই, শেষ লড়াইয়ে কে জেতেন, তা সত্যিই নির্ভর করছে জনতা জনার্দনের উপরই!