দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩০ জুলাই: জল-যন্ত্রণার চিত্র দেখতে গিয়ে ক্ষোভের মুখে খড়্গপুর সদরের বিধায়ক হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায়! বিজেপির সেলিব্রেটি বিধায়ক আজ খড়্গপুর শহরের ৩১ ও ৩২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন। তাঁদের বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে বিধায়ক প্রকৃত পরিস্থিতি দেখলেন না বলে। যদিও বিধায়কের দাবি, গতকাল থেকেই তিনি জলবন্দি শহরবাসীর বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছচ্ছেন এবং ত্রাণসামগ্রীও তুলে দিচ্ছেন। উল্টে তিনি, খড়্গপুর শহরের শাসকদলের নেতা তথা পৌরসভার প্রশাসক প্রদীপ সরকারের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে বললেন, “কি উন্নয়ন হয়েছে মানুষ হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছে। একেবারে উন্নয়নের বন্যা বইছে! মানুষের ক্ষোভ থাকাটা স্বাভাবিক।” প্রসঙ্গত, আজ খড়্গপুর শহরের রামনগর রেল বস্তি এলাকার মানুষ, বিধায়ক’কে কাছে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দেন। অভিযোগ, তিনি গাড়ি থেকে নেমে ওই বস্তিতে প্রবেশ করেননি! যদিও বিধায়কের দাবি, তিনি আগে প্রতিটি এলাকা গাড়িতে করে ঘুরে দেখে নিচ্ছেন। ফেরার পথে প্রতিটি বাড়িতে ঢুকবেন। গতকাল থেকেই তিনি এভাবেই জলবন্দি শহরবাসীর পাশে আছেন বলে দাবি করেছেন।
এদিকে, খড়্গপুর পৌরসভার প্রশাসক প্রদীপ সরকার জানান, “রামনগর এলাকা রেলের অধীনে পড়ে। পৌরসভা কাজ করতে পারছেনা! হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায়ের যদি এতই দরদ, উনি তো ক’দিন আগেই রেলমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এসেছেন, ওনাকে বলুন রেলকে বলে আমাদের নো অবজেকশন দিতে; সমস্ত কাজ আমরাই করে দেব। যারা শহরের ইতিহাস-ভূগোল জানে না, তারা আবার বড় বড় কথা বলে!” ঠিক এইভাবেই বিধায়ক হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায়-কে কটাক্ষ করলেন প্রদীপ সরকার। এদিকে, পৌরসভা আর রেলের এই লড়াইয়ের মধ্যে জল-যন্ত্রণার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ!