দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ৬ জুলাই: গত ২৭ জুন রাত্রি ১০ টা নাগাদ দুষ্কৃতীদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিলেন খড়্গপুরের তৃণমূল কর্মী তথা পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার ঘনিষ্ঠ ভেঙ্কট রাও ওরফে প্রসাদ। আর, প্রসাদ মৃত্যু’র ৯ দিনের মাথায় তাঁর পরিবার বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন! পরিবারের দাবি, প্রসাদকে শুধু ব্যবহার করেছে তৃণমূল। মৃত্যু’র পর পরিবারের কোনো খোঁজখবর-ই নেয়নি দল। তাঁদের মূল অভিযোগের তীর পুরপ্রধান প্রদীপ সরকারের দিকেই। প্রসঙ্গত, ২০ নং ওয়ার্ডে প্রদীপ সরকারের বিশাল পার্টি অফিসের ঠিক উল্টো দিকেই রয়েছে ভেঙ্কট রাও ওরফে প্রসাদের বাড়ি। অভিযোগ, দিন দু’বেলা পার্টি অফিসে এলেও, প্রসাদের বাড়িতে একবারের জন্যও আসেননি তিনি! খোঁজ নেননি পরিবারের। এমনকি, পুলিশও এই খুনের সঠিক তদন্ত করছেনা বলে অভিযোগ করলেন তাঁরা। তাঁদের দাবি সিআইডি তদন্ত হোক প্রসাদ খুনের। বুধবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করে, প্রসাদের বাবা আনন্দ রাও, ভাই আদিত্য নারায়ণ রাও এবং ছেলে সাগর কুমার- এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন।
উল্লেখ্য যে, ২০১৭ সালে খুন হওয়া ‘রেলমাফিয়া’ শ্রীনু নাইডু’র ঘনিষ্ঠ এই প্রসাদ তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী হিসেবে ২০২২-এর পৌর নির্বাচনে কাজ করেছিলেন বলে জানা যায়। প্রদীপ সরকার ঘনিষ্ঠ এই যুবকর্মীকে তিনটি ওয়ার্ডের দায়িত্ব-ও দেওয়া হয়েছিল। যথাক্রমে – ১৮, ১৯ ও ২০ নং ওয়ার্ড। আর, তিনটি ওয়ার্ডেই জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এর মধ্যে, ১৮ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী শ্রীনু নাইডু’র স্ত্রী এ. পূজা নাইডু আবার সর্বোচ্চ ব্যবধানে (তৃণমূল প্রার্থীদের মধ্যে) জয়ী হয়েছিলেন! প্রসাদের পরিবারের দাবি, এই জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল একসময়ের শ্রীনু নাইডু ঘনিষ্ঠ এই প্রসাদের। আর, ঠিক যেভাবে শ্রীনু নাইডু ২০১৭ সালে খুন হয়েছিলেন নিজের পার্টি অফিসে, ঠিক সেভাবেই বাড়ির কাছে ওল্ড সেটেলমেন্টের মাতা মন্দিরের সামনে খুন হতে হয় প্রসাদকেও। পুলিশ তিন জনকে (শুভম সোনার, ঈশ্বর রাও, জে কৃষ্ণা রাও) গ্রেফতার করলেও, পরিবারের দাবি, আরও বড় মাথা আছে। সেক্ষেত্রে তাঁদের ইঙ্গিত শাসকদলের দিকেই! তাই, পুলিশি তদন্তে নয়, পরিবারের ভরসা এখন সিআইডি (CID) তদন্ত। তবে কি, ভেঙ্কট রাও ওরফে প্রসাদ দলের-ই অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে খুন হয়েছেন? পরিবারের তরফে এদিনের সাংবাদিক বৈঠকের পর, সেই জল্পনাই যেন জ্বলে উঠলো আবারও! সমস্ত অভিযোগ শুনে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা খড়্গপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ সরকার বুধবার বিকেলে বলেন, “প্রসাদের গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকে হাসপাতালে যাওয়া, পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা- সবকিছুই করা হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। দল ওর পরিবারের পাশেই রয়েছে। হয়তো এই সময়ের মধ্যে ওর বাড়ি যাওয়া হয়নি, কিন্তু পুলিশের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রেখে চলেছি। যাতে সঠিক তদন্ত হয় এবং প্রকৃত দোষীরা শাস্তি পায়, সেই দাবি রেখেছি আমরা। ওর পরিবারের সঙ্গে খড়্গপুর টাউন থানার আইসি’র দেখা করিয়ে, সেই আবেদন রাখব। প্রসাদ যেমন দলের একনিষ্ঠ কর্মী ও সমর্থক ছিল, ওর পাশেও দল ছিল, সেটা ওর পরিবারের বাকিদের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। কারণ, ওর বাবা বৃদ্ধ, ছেলে ছোটো। তবে, আমরা ওর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে ওদের বক্তব্য মন দিয়ে শুনব।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…