দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৩ নভেম্বর: কেশবের আজব কাণ্ড কারখানায় হতবাক পুলিশ থেকে বনদপ্তর! জানা যায়, দিনের বেলায় খড়্গপুর সংলগ্ন হিজলি এলাকায় বিভিন্ন বাড়ি কিংবা দোকানে জল পৌঁছনোর কাজ করে সে। তবে, রাত নামলেই হিজলি সংলগ্ন গভীর জঙ্গলে পৌঁছে যায় সে। সেই জঙ্গলের মাঝেই তৈরি করা তার অস্থায়ী বাড়িতে রাত কাটায় সে। মাওবাদীদের মতোই অস্থায়ী বাড়ির চারপাশ কাঁটা-ঝোপঝাড় দিয়ে ঢেকে রেখেছিল সে। তবে, শেষ রক্ষা হলোনা! বনদপ্তরের কাছে এই খবর পৌঁছনোর পরই শনিবার দুপুরে তাঁরা গভীর জঙ্গলে পৌঁছে যান। খবর দেন পুলিশকেও। কেশবের ঘর ভাঙার আগেই অবশ্য মাথায় হাত পুলিশ ও বনকর্মীদের। মাঝ জঙ্গলে কেশবের ঘরে থরে থরে সাজানো শাড়ি! নতুন, পুরানো সব রকম শাড়িই আছে। সংখ্যাটা ১০-১২ টা বা ৫০-১০০ টা নয়! অন্তত দেড় থেকে দু’ হাজার শাড়ি। সঙ্গে আবার আরো একটি রহস্যময় বস্তু পাওয়া গেছে তার ওই তাঁবুর মতো ঘর থেকে। নিজের হাতে তৈরি হলেও, তা অনেকটাই বড় পুতুলের মতো দেখতে! তবে, কি সেক্স ডল তৈরি করেছিল কেশব ওরফে মোহন? আর, এতো এতো শাড়িই বা কোথা থেকে পেয়েছিল সে? পুলিশ তাকে আটক করে তদন্ত শুরু করেছে। অপরদিকে, মনোবিদেরা বিষয়টিকে “বিকৃত বা অসুস্থ মানসিকতার পরিচয়” বলেই মনে করছেন প্রাথমিকভাবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রেল শহর থেকে কিছুটা দূরেই হিজলি এলাকায় ঘন জঙ্গলের মাঝে একাকী বসবাস! অনেকটা, মাওবাদী কায়দায় চারপাশ কাঁটা দিয়ে ঘিরে ঘন জঙ্গলের মাঝে অস্থায়ী ঘর তৈরি করে এক ব্যক্তির বসবাসের খবর পৌঁছয় বনদপ্তরের কাছে। খবর পাওয়ার পরই ব্যক্তির ঘর ভাঙতে যান বনকর্মীরা। একই সঙ্গে পুলিশেও খবর দেন। মাঝ জঙ্গলে পুলিশ গিয়ে হতবাক! চারিপাশ ঘেরা ঝোপঝাড়, কাঁটা দিয়ে। মাওবাদীদের মতোই। ঘরে অভিযান চালিয়ে পুলিশ উদ্ধার করল নতুন পুরানো প্রায় ১৫০০-২০০০ শাড়ি। শুধু তাই নয়, তার নিজের হাতে তৈরি একটি সেক্স ডলও পাওয়া গেছে। যেটিকে মেয়েদের শালোয়ার কামিজ পরিয়ে রেখেছিল কেশব হেমব্রম ওরফে মোহন নামে বছর ৪৯-এর ওই যুবক। ইতিমধ্যে তাকে আটক করেছে খড়্গপুর গ্রামীণ থানার পুলিশ। জানা গেছে, হিজলি সংলগ্ন এলাকায় পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ করত সে। তারপর, অন্ধকার নামলেই আশ্রয় নিত ওই ঘন জঙ্গলে! স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই এলাকার বিভিন্ন বাড়ি ও দোকান থেকে গত কয়েক মাস ধরেই শাড়ি চুরি হচ্ছিল। এদিকে, কেশবের ঘর থেকে দেড়-দু হাজার শাড়ি পাওয়া গেছে! কিন্তু, চুরি করলেও, সেই সব শাড়ি ঘরে জমিয়ে রেখেছিল কেন সে? কেনোই বা পরিবার ছেড়ে এই গভীর জঙ্গলে বসবাস করত কেশব? এই ধরনের ঘটনায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ২২ নভেম্বর: আইআইটি (IIT)-র মতো বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানে অভাব…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ নভেম্বর: দোকান বন্ধ করে রাতেই বেরিয়েছিলেন বাইক নিয়ে।…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…