thebengalpost.in
এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে রেগে অগ্নিশর্মা দিলীপ ঘোষ :

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৮ আগস্ট: খড়্গপুর শহর ‘দিলীপ গড়’ হিসেবেই পরিচিত। প্রথমবার নির্বাচনে দাঁড়িয়েই ‘বিধায়ক’ নির্বাচিত হয়েছিলেন এখান থেকে। এখন তিনি মেদিনীপুরের সাংসদ। মাত্র ২ বছর তৃণমূলের প্রদীপ সরকার বিধায়ক থাকলেও, এখন ফের তাঁর দলের বিধায়ক হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায় (হিরন) বিধায়ক হয়েছেন খড়্গপুর থেকে। স্বাভাবিকভাবেই ‘রেল নগরী’ খড়্গপুর দিলীপ ঘোষ তথা বিজেপি’র কাছে অত্যন্ত কাছের। কলকাতার বাইরে দিলীপ থাকেন-ও খড়্গপুর শহরে। সেই খড়্গপুর শহরের জল-যন্ত্রণা দেখতে গিয়ে, রবিবার সাত সকালেই মেজাজ হারালেন দিলীপ। প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে গিয়েছিলেন নিজের দলের ২ নম্বর ওয়ার্ডের এক অসুস্থ কর্মীকে দেখতে। সেখানে গিয়েই জলবন্দি এলাকাও পরিদর্শন করেন। এরপরই, এলাকাবাসী তাঁকে ঘিরে ধরে জানায়, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে জল যন্ত্রনায় ভুগছেন। এরপরই রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন দিলীপ! তিনি বলেন, “আমি সাংসদ কোটার টাকাও দেব, আর আপনাদের হয়ে পৌরসভার বিরুদ্ধে আন্দোলন-ও করব! আর, আপানারা কি বাড়িতে বসে ঘুমাবেন? যান গিয়ে আন্দোলন করুন, জাতীয় সড়ক ঘেরাও করুন।” তারপর স্থানীয় মানুষ এলাকার বিদায়ী কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে, তিনি আরও ক্রুদ্ধ হয়ে বলেন, “কাউন্সিলরের বাড়ির সামনের রাস্তা ঘেরাও করুন। তার বাড়ির সামনে গিয়ে মলত্যাগ করুন, বাড়ির সামনে কাদা ফেলে দিয়ে আসুন। তার বাড়ি থেকে বেরোনো বন্ধ করে দিন। যে ছোটো লোক, তার সঙ্গে ছোটো লোকের মতোই ব্যবহার করতে হবে!” দিলীপ এও নিদান দেন, “দরকার পড়লে কাউন্সিলর-কে ল্যাম্প পোস্টে বেঁধে রাখুন!”

thebengalpost.in
এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে রেগে অগ্নিশর্মা দিলীপ ঘোষ :

কিন্তু, দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই এলাকার কাউন্সিলর বিজেপি’র সুখরাজ কাউর। মহিলা কাউন্সিলর। দিলীপের এই মন্তব্যের পর রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, দিলীপ বাবু কি জানতেন না যে এই এলাকার কাউন্সিলর তাঁর দলেরই একজন মহিলা কর্মী! তিনি জানুন বা না জানুন এদিন খড়্গপুর পৌরসভার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করতে গিয়ে এলাকার কাউন্সিলর সম্পর্কেও যেসমস্ত মন্তব্য গুলি করে বসেন, তা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে! যদিও পরে, সংবাদ মাধ্যমের কাছে MKDA এবং খড়্গপুর পৌরসভার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে দিলীপ জানান, “আমার সাংসদ তহবিলের টাকা দিয়ে দেওয়ার পরও কোনো প্রজেক্টে হাত দিচ্ছেনা পৌরসভা ও এম কে ডি এ। নিজেরাও কাজ করবেনা, কেউ করতে চাইলেও করতে দেবেনা” এ নিয়ে পৌরসভার প্রশাসক প্রদীপ সরকার বলেন, “উনি মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইছেন। ওনার টাকায় পৌরসভা কাজ করেনা, MKDA করে। আর, শহরজুড়ে পুরো জলতো রেলের থেকেই আসছে। রেলের উচিত ছিল মাস্টার প্ল্যান করা! আমরাই তা করার উদ্যোগ নিয়েছি, মুখ্যমন্ত্রী তা অনুমোদন-ও দিয়েছেন।”

thebengalpost.in
সাংবাদিকদের মুখোমুখি দিলীপ :