দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ৯ নভেম্বর: শনিবার (৯ নভেম্বর) ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের অধীন খড়্গপুর ডিভিশনের শালিমার স্টেশনে ঢোকার আগে নলপুরের কাছে ট্রেন দুর্ঘটনা! এক্সপ্রেস ট্রেনের পর পর তিনটি কামরা লাইনচ্যুত হয়েছে। তার মধ্যে একটি পার্সেল ভ্যান হলেও দু’টি কামরায় যাত্রীরা ছিলেন। হতাহতের কোনও খবর নেই। তবে, দুর্ঘটনার জেরে রেলের দক্ষিণ-পূর্ব শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের অধীন খড়্গপুর ডিভিশনের তরফে একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। হাওড়া কিংবা শালিমারগামী বিভিন্ন ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। সময় পরিবর্তন করা হয়েছে বেশ কিছু ট্রেনের। ফলে, খড়্গপুর ডিভিশনের মেদিনীপুর স্টেশন, খড়্গপুর স্টেশন থেকে শুরু করে হাওড়া ও শালিমার লাইনের বিভিন্ন স্টেশনেই চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছেন যাত্রীরা।
জানা যায়, শনিবার ভোর ৫টা ৩৫ মিনিট নাগাদ ডাউন সেকেন্দ্রাবাদ-শালিমার সাপ্তাহিক এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সেকেন্দ্রাবাদ থেকে শালিমারের দিকে যাচ্ছিল ট্রেনটি। শালিমার ঢোকার আগে, নলপুরের কাছে এক্সপ্রেস ট্রেনের পর পর তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়। তবে, ট্রেনের গতি অত্যন্ত কম (ঘন্টায় ১৫-২০ কিমি) থাকায় বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া গিয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আধিকারিকেরা। যাত্রীরা সকলে সুরক্ষিত আছেন বলে জানানো হয়েছে। যদিও, দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের খড়্গপুর ডিভিশনে ব্যাপকভাবে ট্রেন চলাচল ব্যহত হয়েছে। চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছেন যাত্রীরা। খড়্গপুর স্টেশনে সকাল ৬টা থেকেই হাওড়া কিংবা শালিমারগামী সমস্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টা অবধি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি বলে জানা গেছে। ফলে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন যাত্রীরা।
জানা যায়, নলপুরের যে জায়গায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেখানি তিনটি লাইন আছে। আপ লাইন, ডাউন মেন লাইন, মিডল লাইন। এই মিডল লাইন দিয়ে আপ এবং ডাউন দুই লাইনের ট্রেন চলাচল করে। ডাউন লাইন দিয়েই আসছিল ট্রেনটি। আচমকা মাঝের লাইনে সরে যায় ইঞ্জিন। তার পর সেখান থেকে আবার তা চলে আসে ডাউন লাইনে। কী ভাবে তা সম্ভব হল, তা নিয়ে এখনও ধন্দে রেল আধিকারিকেরা। তবে, যে সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে তখন গাড়ির গতি ছিল ঘন্টায় ১৫-২০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। সে কারণেই বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও, সকাল থেকেই চরম ভোগান্তির মুখে ট্রেন যাত্রীরা।