দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৮ মে:অবশেষে বহু প্রতীক্ষিত সিআইসি (Chairman in Council) বা পুর-পারিষদ’দের নাম ঘোষণা করা হল খড়্গপুর পৌরসভায়। ১৬ মার্চ বোর্ড গঠনের প্রায় ৭০ দিন পর ৫ জন সিআইসি’র নাম ঘোষণা হল, খড়্গপুরে। শুক্রবার বিকেলে খড়্গপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ সরকার এবং ভাইস চেয়ারম্যান তৈমুর আলি খানের উপস্থিতিতে এই ৫ জনের নাম ঘোষণা করা হল। সিআইসি হয়েছেন, প্রদীপ বিরোধী গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত, যথাক্রমে দেবাশীষ চৌধুরী (মুনমুন) এবং রবিশঙ্কর পান্ডে’র স্ত্রী যথাক্রমে- নমিতা চৌধুরী (১৭ নং ওয়ার্ড) এবং রীতা পান্ডে (২৮ নং ওয়ার্ড)। নমিতা’কে জঞ্জাল এবং রীতা’কে কর (ট্যাক্স অ্যান্ড রেভিনিউ) এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, প্রত্যাশামতোই ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কল্যাণী ঘোষ-কে দেওয়া হয়েছে জলের দায়িত্ব। এদিকে, সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পূর্ত বিভাগের দায়িত্ব পেয়েছেন ২৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চন্দন সিং। এই পূর্ত বা পি ডব্লিউ ডি (PWD) নিয়েই বিভিন্ন কাউন্সিলরদের মধ্যে দড়ি টানাটানি চলছিল! শেষমেশ দায়িত্ব পেলেন স্বচ্ছ ভাবমূর্তির চন্দন সিং। তবে, সকলকে চমকে দিয়ে ১২ নং ওয়ার্ডের বিষ্ণু প্রসাদ’কেও সিআইসি করা হয়েছে। তাঁকে ট্রেড লাইসেন্স এর দায়িত্ব দিয়েছে দল ওরফে রাজ্য নেতৃত্ব।
তবে, অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে অভিজ্ঞ অপূর্ব ঘোষ (৩৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর)-কে সিআইসি করেনি দল! একসময়, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে পূর্ত দফতরের সিআইসি হিসেবে যাঁর নাম বারবার আলোচনায় উঠে আসছিল, সেই অপূর্ব-কে ৫-টি সিআইসি’র কোনোটিরই দায়িত্ব দেয়নি দলীয় নেতৃত্ব। সম্প্রতি, তাঁর ওয়ার্ডে জঞ্জাল ও নিকাশি সমস্যা সামনে এসেছিল বিজেপির যুব কর্মী সৌরভ নাথের আন্দোলন’কে কেন্দ্র করে। সেটাও হয়তো অপূর্ব’র বিপক্ষে যেতো পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, অপূর্ব সহ ৬ জন কাউন্সিলর-কে বিভিন্ন কমিটির প্রধান (Head/in-charge) করা হয়েছে। অপূর্ব ঘোষ ছাড়াও, এই কাউন্সিলর’রা হলেন- ডি.বাসন্তী (২১ নং ওয়ার্ড), এ. পূজা নাইডু (১৮ নং ওয়ার্ড), প্রবীর ঘোষ (১২ নং ওয়ার্ড), রোহণ দাস (২৬ নং ওয়ার্ড) এবং বি. হ্যারিশ (১০ নং ওয়ার্ড)। বোঝাই যাচ্ছে, বাসন্তী, পূজা, প্রবীর, হ্যারিশ, রোহণ-দের মতো নতুনদেরও এবার গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এদিকে, কাউন্সিলর ইন চার্জ হিসেবে যাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই প্রদীপ অনুগামী হিসেবে পরিচিত নন। তাই, পৌরসভায় প্রদীপ গোষ্ঠী ও প্রদীপ বিরোধী গোষ্ঠীর মধ্যে ভারসাম্য আনতেই, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। স্বয়ং, প্রদীপ অবশ্য জানিয়েছেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই তালিকা অনুমোদন করেছেন। তাঁর, সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।” অন্যদিকে, জেলা চেয়ারম্যান অজিত মাইতি এবং জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা-ও জানিয়েছেন, শীর্ষ নেতৃত্বের অনুমোদনক্রমে কাউন্সিলরদের এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ নভেম্বর: দোকান বন্ধ করে রাতেই বেরিয়েছিলেন বাইক নিয়ে।…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…