দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৮ জুন: কেলেঘাই নদীর উপর কংক্রিটের সেতু নির্মিত হচ্ছে। খড়্গপুর ও কেশিয়াড়ির মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা সুগম করতেই রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর গ্রামীণ এলাকার ধবনী-তে এই সেতু নির্মিত হচ্ছে। কাজের বরাত পেয়েছেন PWD’র এক ঠিকাদার। কিন্তু, সেতু তৈরি করতে গিয়েই কেলেঘাই নদীর পাড়ের মাটি কেটে ফাঁকা করছেন নবকুমার ভুঁইয়া নামে ওই ঠিকাদার, এমনই মারাত্মক অভিযোগ তুলেছেন খড়্গপুর গ্রামীণের বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, ব্রিজ বা সেতু তৈরি করার সময়, ব্রিজের দুই পাশে যে সংযোগকারী রাস্তা বা অ্যাপ্রোচিং রোড (Approaching Road) তৈরি করতে হয়, ওই ঠিকাদার নদী পাড়ের মাটি কেটে নিয়ে গিয়েই ওই রাস্তা তৈরি করেছেন সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে। আর, এভাবে নদীর পাড় কেটে মাটি তুলে নিয়ে যাওয়ার ফলে, বর্ষার সময় প্ললাবনের আশঙ্কা করছেন গ্রামের বাসিন্দারা। যদিও, ওই ঠিকাদার-কে বাধা দেওয়া হলে, তিনি এলাকাবাসীকে জানিয়েছেন, তিনি কোনো অন্যায় করেননি! সরকারি নিয়ম মেনেই সব করছেন।
উল্লেখ্য যে, ব্রিজ বা সেতু তৈরির সময় অ্যাপ্রোচিং রোড বা সংযোগ সাধনকারী রাস্তা তৈরি করতেই হয়। কিন্তু, সেই রাস্তা তৈরি করতে হলে, পৃথক কোনো স্থান থেকে মাটি নিয়ে আসতে হয়। এক্ষেত্রে, প্রয়োজনে ঠিকাদার-কে তা কিনেও নিয়ে আসতে হতে পারে। এমনটাই নিয়ম। কিন্তু, এক্ষেত্রে তা না করে, ওই ঠিকাদার নদী পাড়ের-ই মাটি নিয়ে গিয়ে রাস্তা তৈরি করছেন সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে। আর, এর ফল হতে পারে মারাত্মক! নদী তীরবর্তী এলাকাগুলি প্লাবিত হতে পারে, নদীতে জল বাড়লেই। এমনটাই অভিযোগ গ্রামবাসীদের। তাঁরা জানাচ্ছেন, এমনিতেই এই সমস্ত এলাকায় বন্যা হয়। ডুবে যায় গ্রাম। আর, ঠিকাদার যা কাণ্ড ঘটাচ্ছেন, তাতে নদীর জল হু হু করে গ্রামে ঢুকে পড়বে নদীতে সামান্য জল বাড়লেই। এ নিয়ে ঠিকাদার নবকুমার ভুঁইয়া সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, “নদীর পাড় কাটব কেন? গ্রামবাসীদের এ নিয়ে কোনো অভিযোগ-ই নেই। অভিযোগ থাকার প্রশ্ন-ও নেই, কারণ, আমি সবকিছু নিয়ম মেনেই করছি!” অপরদিকে, জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ জানিয়েছেন, “গ্রামবাসীদের অভিযোগ পেয়েছি। ওই ঠিকাদার মারাত্মক অপরাধ করেছেন। পাড় কেটে রাস্তা তৈরির কোনো নিয়ম নেই। বাইরে থেকে মাটি কিনে নিয়ে এসে রাস্তা তৈরি করতে হয়। ইতিমধ্যে, PWD কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি জানিয়েছি। ওই নদী পাড় মেরামত করে দেওয়ার কথা বলেছি কর্তৃপক্ষকে।” বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন PWD’র আধিকারিকরা।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ২২ নভেম্বর: আইআইটি (IIT)-র মতো বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানে অভাব…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ নভেম্বর: দোকান বন্ধ করে রাতেই বেরিয়েছিলেন বাইক নিয়ে।…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…