দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ ডিসেম্বর: রাজ্যজুড়ে নাকি ‘ক্ষয়িষ্ণু’ কংগ্রেস! বিজেপি আবার বলে, কংগ্রেসের নাকি অস্তিত্বই নেই। সেই কংগ্রেসের মারেই থানায় দৌড়ে যেতে হল বিজেপি নেতাকে! ঘটনা রেলশহর খড়্গপুরের। পৌরসভার বালতি দেওয়াকে কেন্দ্র করে, বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বিজেপি নেতার সঙ্গে এমন মারধরের ঘটনা ঘটল, তা গড়াল থানা অবধি। খড়্গপুরের ১১ নং ওয়ার্ডের লালডাঙা এলাকার বিজেপি নেতা তথা উত্তর মন্ডলের সাধারণ সম্পাদক মনোজ কুমার দে’র অভিযোগ, এলাকার কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন কাউন্সিলর দেবাশীষ ঘোষ তাকে ব্যাপক মারধর করেছে। অভিযোগ, তিনি পৌরসভার বালতি দেওয়ায় স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ জানিয়ে ছিলেন। তাই, বিদায়ী কংগ্রেস কাউন্সিলর কালি নায়েককে সঙ্গে নিয়ে কংগ্রেস নেতা (এলাকার একসময়ের কাউন্সিলর) দেবাশীষ তাঁর উপর চড়াও হয় ব্যাপক মারধর করে। মেরে মাথা ও কপাল ফুলিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। এরপরই, বিজেপির মন্ডল সভাপতি দীপসোনা ঘোষের নেতৃত্বে তাঁরা বিক্ষোভ অবরোধ করেন এবং পরে সাদাতপুর পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ করেন!
যদিও, শুক্রবার সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে কংগ্রেস নেতা দেবাশীষ ঘোষ আমাদের জানিয়েছেন, “বালতি ভর্তি সরকারি গাড়ি আটকে দিয়েছিলেন উনি। শুধু ঠেলে সরিয়ে দিয়েছিলাম! এলাকাবাসী জানেন, এমনকি ওনার বাড়ির লোকও জানেন, সঠিক পদ্ধতি মেনে প্রত্যেকের বাড়িতে বালতি দেওয়া হচ্ছিল। তা সত্ত্বেও আমাদের কাজে বাধা দিচ্ছিলেন। তাই কোন রকম কথা না বাড়িয়ে, শুধুমাত্র সরকারি গাড়ির সামনে থেকে সরিয়ে দিয়েছিলাম। উল্টে উনিই আমাদের উপর চড়াও হয়েছিলেন। আমিও থানায় জানিয়েছি।” তবে, বিজেপি নেতা মনোজ কুমার দে’র অভিযোগ, “বিজেপি সমর্থকদের বাড়িতে বালতি দেওয়া হচ্ছিল না! আমি এর প্রতিবাদ জানাতেই উনি মেরে মুখ-মাথা ফাটিয়ে দেন। এলাকার মহিলা সহ বাসিন্দারা আমাকে উদ্ধার করেন।” ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে, এটুকুই বোঝাই যাচ্ছে, ইন্ডিয়াতে যাই হোক না কেন ‘মিনি ইন্ডিয়া’তে এখনো কংগ্রেসের দাপট অব্যাহত!