দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ২০ ডিসেম্বর: ১৮ থেকে বাড়তে বাড়তে চেয়ারম্যান প্রদীপের বিপক্ষে চলে গিয়েছেন খড়্গপুর পৌরসভার ২১ জন কাউন্সিলর (২৫ জনের মধ্যে)। পক্ষে কেবল ৪ (প্রদীপ সরকার সহ)! দলের তরফেও ‘ডেডলাইন’ দিয়ে দেওয়া হয়েছিল, আজ অর্থাৎ মঙ্গলবারের (২০ ডিসেম্বরের) মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে! তবে, পদত্যাগ করেননি প্রদীপ! উল্টে, আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে প্রদীপ সরকার ক্যামেরার সামনে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন! তাঁর বক্তব্য, “আমি এখনও মনে করি এই কাউন্সিলরদের মধ্যে বেশিরভাগ জন-ই চাপে পড়ে আমার বিপক্ষে গেছেন। এর পেছনে একটা বড়সড় ‘গেম’ আছে, অনেক বড় ‘খেলা’ হয়ে গেছে মনে হয়! আমি দলের নির্দেশ উপেক্ষা করবনা। আমি পদত্যাগ করব। তবে, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে অনুরোধ করব, এই চক্রান্তের পেছনে কারা আছে, তা যেন তদন্ত করে দেখা হয়।” এরপরই, নড়েচড়ে বসে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব!

thebengalpost.net
মঙ্গলবার নিজের দপ্তরে প্রদীপ সরকার:

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে প্রদীপ সরকার-কে ফোন করেন দলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা আহ্বায়ক অজিত মাইতি। স্পষ্ট জানিয়ে দেন প্রদীপকে, আগামীকালই (বুধবার) পদত্যাগ করতে হবে। নাহলে ব্যবস্থা নেবে দল! সাংবাদিকদের একথা জানিয়ে, অজিত মাইতি একটি ভিডিওবার্তায় বলেন, “দলের ঊর্ধ্বে কেউ নন। দলের একেবারে সর্বভারতীয় স্তর থেকে মঙ্গলবার এর মধ্যে প্রদীপ সরকারকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেইমতো আমি, সুজয় (জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা), দীনেন (জেলা চেয়ারম্যান দীনেন রায়), প্রদ্যোৎ (রাজ্য সম্পাদক প্রদ্যোৎ ঘোষ) জানিয়ে দিয়েছিলাম ওকে। কিন্তু, আমাদের মনে হচ্ছে ও অহেতুক সময় নষ্ট করছে। আজকেও পদত্যাগ করেনি। তাই, আজ কিছুক্ষণ আগে আমি ওকে ফোন করে বলেছি, আগামীকাল অবশ্যই যেন পদত্যাগ করে… নাহলে দল ব্যবস্থা নেবে।” এরপরই, অবশ্য প্রদীপ সরকার জানিয়ে দেন, আগামীকাল (বুধবার)-ই তিনি মহকুমাশাসকের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। এদিকে, খড়্গপুর পৌরসভায় তৃণমূলের এই ‘খেলা’ বেশ ভালোই উপভোগ করছেন বিরোধীরা! বিজেপি’র জেলা মুখপাত্র অরূপ দাসের কটাক্ষ, “আমরা তো আগেই বলেছি, তৃণমূল কোনো রাজনৈতিক দল নয়। ওটা একটা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। ওখানে অজিত মাইতিও একজন কর্মচারী, প্রদীপ সরকারও! স্বাভাবিকভাবেই, এক কর্মচারী আরেক কর্মচারীর কথা নাও শুনতে পারেন। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই!”