দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৫ মার্চ: মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিমতোই হল পদ-প্রাপ্তি! একেবারে ‘নিভে যাওয়া প্রদীপ’ কিছুটা হলেও জ্বলে উঠলো! MKDA (Midnapore Kharagpur Development Authority)-র ভাইস চেয়ারম্যান করা হল খড়্গপুরের প্রাক্তন পৌরপ্রধান তথা প্রাক্তন বিধায়ক প্রদীপ সরকারকে। শুক্রবার বিকেলে নবান্নের তরফে (পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের তরফে) বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়ে দেওয়া হয়, তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক প্রদ্যোৎ ঘোষের সঙ্গে যৌথভাবে ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামলাবেন খড়্গপুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রদীপ সরকার। চেয়ারম্যান থাকছেন যথারীতি খড়্গপুর গ্রামীণের বিধায়ক দীনেন রায়-ই। এছাড়াও, জেলাশাসক ছাড়া এই ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের অন্যান্য সদস্য হিসেবে আছেন দাঁতনের বিধায়ক বিক্রম চন্দ্র প্রধান, দাসপুরের বিধায়ক মমতা ভূঁইয়া, তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা জহর পাল এবং রাজ্যের দু’টি দপ্তরের (অর্থ এবং পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের) দুই প্রধান সচিব।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ৪ ও ৫ মার্চ মেদিনীপুর সফরে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৪ মার্চ মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে দলীয় নেতৃত্বদের নিয়ে বৈঠক বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই খড়্গপুরে রেলের বস্তি উচ্ছেদ সহ নানা বিষয়ে অভিযোগ করতে উঠে, প্রদীপ ‘দিদি’র কাছে অনুযোগ করেছিলেন, “দিদি আমাকে যে কেন পৌরপ্রধানের (খড়্গপুর পৌরসভার) পদ থেকে ইস্তফা দিতে বলা হলো, তা আজ পর্যন্ত জানতে পারলাম না!” এই মুহূর্তে একজন কাউন্সিলর ছাড়া তিনি যে কোনও ‘গুরুত্বপূর্ণ’ পদেও নেই, তাও দলনেত্রীকে জানিয়েছিলেন প্রদীপ। মনে রেখেছিলেন ‘দিদি’ (মুখ্যমন্ত্রী)। ৫ মার্চ মেদিনীপুর কলেজ কলেজিয়েট মাঠের প্রশাসনিক সভা শেষে ‘হাত নেড়ে’ ডেকে নিয়েছিলেন প্রদীপ-কে। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীর পাশেই ছিলেন MKDA চেয়ারম্যান ও খড়্গপুর গ্রামীণের বিধায়ক দীনেন রায়। মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী দীনেন-কে নির্দেশ দিয়েছিলেন, ‘প্রদীপকে সঙ্গে নিয়ে’ কাজ করার জন্য। আর প্রদীপকেও বলে গিয়েছিলেন, “আমি দেখছি তোর ব্যাপারটা। খড়্গপুরবাসীকে সঙ্গে নিয়ে রেলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে তোল। রাজ্যের তরফেও রেলকে আমরা চিঠি করব।” দিদি যাওয়ার পরই প্রদীপ বলেছিলেন, “অনেক দিন পর একটু শান্তি পেলাম!” ১০ দিন পর পদ-প্রাপ্তিও হলো প্রদীপের। জল্পনা, লোকসভা নির্বাচনের পর আরও বড় কিছু পেতে পারেন প্রদীপ! শুক্রবার ফোনে অবশ্য প্রদীপ জানিয়েছেন, “কিছুক্ষণ আগে খবরটা পেলাম। খুশি হয়েছি। আমি আমার কাজও চালিয়ে যাচ্ছি। আপাতত, দিদির দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। ঈশ্বর ওঁকে তাড়াতাড়ি সুস্থ করে দিন!” কিন্তু আরও ‘বড় কিছু’? প্রশ্ন করার আগেই প্রদীপ বললেন, “সেসব এখন ভাবছিনা! আপাতত আমাদের লক্ষ্য, আমাদের লোকসভার প্রার্থীকে বড় ব্যবধানে জিতিয়ে আনা।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…