দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, ঝাড়গ্রাম, ১৭ মে: দলীয় প্রার্থী কালীপদ সোরেনের সমর্থনে শুক্রবার বেলা আড়াইটা নাগাদ ঝাড়গ্রাম লোকসভার অন্তর্গত গোপীবল্লভপুরের গজাশিমুল এলাকায় অনুষ্ঠিত জনসভার শুরুতেই একসময়ের জঙ্গলমহলের ভয়াবহ মাও আন্দোলনের ‘সূত্রধর’ (পুলিশি সন্ত্রাস বিরোধী জনসাধারণের কমিটির ‘প্রতিষ্ঠাতা’ নেতা) হিসেবে খ্যাত ‘জেল-বন্দী’ ছত্রধর মাহাতো-কে স্মরণ করেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “আমি যার হাত ধরে এই জঙ্গলমহলে ঢুকি, তার নাম ছত্রধর মাহাতো!” মমতা এও বলেন, “সিপিএমের আমলে ২০০৮ সালে (যদিও ২০১০ সালে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের) ও গ্রেফতার হয়। আমরা যেদিন ওকে ছাড়াই, বিজেপি ওকে ঝাড়খণ্ডের একটা কেস দিয়ে জেলে ঢুকিয়ে দেয়!” এরপরই মমতার সংযোজন, “আপনাদের হয়তো মনে আছে লালগড়ের ছিতামণির কথা! পুলিশ ওর কান কেটে নিয়েছিল। ৩ জনকে গুলি করেছিল। ছত্রধর গিয়ে লাশ তুলেছিল। আমি ওর হাত ধরেই জঙ্গলমহলে প্রবেশ করছিলাম।” মমতা এও বলেন, “২০০৮ সালের আগে ছত্রধর আমাদের ব্লক সভাপতি (???) ছিল!”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজনৈতিক ও সাংবাদিক মহলের তথ্য অনুযায়ী, মাওবাদী অভিযানে গিয়ে ছিতামণি মুর্মুর বাম চোখে যৌথ বাহিনীর পুলিশ বন্দুকের নল দিয়ে আঘাত করেছিল বলে অভিযোগ। লালগড় তথা জঙ্গলমহলের মাওবাদী আন্দোলনের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল লালগড়ের ছোটপেলিয়ার বাসিন্দা ছিতামণিকে! মাওবাদী শীর্ষনেতা কিষেণজি পর্যন্ত তখন বলেছিলেন, “ছিতামণি মুর্মু এক ঐতিহাসিক নাম।” ২০১১-র নভেম্বরে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আমলে যৌথবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে কিষেণজি নিহত হন! অপরদিকে, ২০১৪ সালে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন ছিতমণি। জানিয়েছিলেন, “পুলিশ এখন আমাদের বন্ধু হয়ে গেছে। এখন আর অত্যাচার হয়না।” উল্লেখ্য যে, পশ্চিম মেদিনীপুরের (অবিভক্ত) তৎকালীন পুলিশ সুপার রাজেশ সিংহের নির্দেশে সেদিন লালগড় থানার আইসি সন্দীপ সিংহ রায়ের নেতৃত্বে ছিতামণির বাড়িতে হামলা হয় বলে অভিযোগ ছিল। আজ, শুক্রবার ঝাড়গ্রামের সভায় মমতা সেই সব দিনের কথা স্মরণ করেন! আর বার বার মনে করেন, পুলিশি সন্ত্রাস বিরোধী জনসাধারণের কমিটির সাজাপ্রাপ্ত নেতা তথা তৃণমূলের ‘প্রাক্তন’ রাজ্য সম্পাদক ছত্রধরের কথা! মমতা এও মনে করান, “ওর ডাকেই আমি বারবার ভাদুতলা, পিড়াকাটার জঙ্গল দিয়ে লালগড় ছুটে গেছি। আমার থেকে বেশি জঙ্গলমহলকে কেউ চেনেনা!”
রাজনৈতিক মহলের মতে, নন্দীগ্রাম আন্দোলনের মতোই, জঙ্গলমহলের আন্দোলনের ক্ষেত্রেও মমতা যে এদিন পরোক্ষে শুভেন্দু অধিকারীর ‘অবদান’ অস্বীকার করেন, তা বলাই বাহুল্য। অপরদিকে, এদিন গজাশিমুলের (গোপীবল্লভপুরের) সভার একেবারে শেষ লগ্নে মমতার জুতো ছিঁড়ে গিয়ে বিপত্তি ঘটে! প্রথমে কার্যত বিরক্তি প্রকাশ করেন তিনি। তারপর কিছুটা সামলে নিয়ে বলেন, “জুতোর কোনো দোষ নেই। ওর আয়ুর থেকে বেশি আমি হেঁটে ফেলেছি। আমি সেপ্টিপিন লাগিয়ে নেব।” এরপর মুখ্যমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের গানের তালে, আদিবাসী শিল্পীদের সঙ্গে পায়ে পা-ও মেলান!
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…