দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২০ ডিসেম্বর: ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের দুই পাশে, ভাদুতলা থেকে শালবনী পর্যন্ত এলাকায় একরের পর একর সরকারি জমি (কয়েকশো একর বলে অনুমান) বেহাত হয়েছে! জাতীয় সড়কের দুই পাশে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে বেসরকারি হোটেল, রেস্টুরেন্ট, গেস্ট হাউস প্রভৃতি। প্রায় বছরখানেক হল সেই তদন্ত হাতে নিয়েছে সিআইডি (CID)। শালবনী থানায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলাও রুজু করা হয়েছে। তদন্তের কাজে ইতিমধ্যে সিআইডি’র টিম বেশ কয়েকবার জেলায় ঘুরেও গেছেন। তবে, এই ঘটনায় এখনও অবধি গ্রেফতার হয়নি কেউ। বরং তদন্তের গতি অত্যন্ত শ্লথ হওয়ায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে বিভিন্ন মহলে! এর মধ্যেই অবশ্য তদন্তকারীদের হাতে উঠে এসেছে বেশ কিছু তথ্য।

thebengalpost.net
বিএলআরও (BLRO) অফিসে বসলো সিসিটিভি (CCTV) ক্যামেরা:

জেলা প্রশাসনের একটি সূত্রে জানা যায়, তদন্তকারী দল এটুকু উদ্ধার করতে পেরেছে যে, শালবনীর ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর (BLRO) থেকেই চলতো বে-আইনি কারবার। জাল নথি, নকল সই ব্যবহার করে বা ভুয়ো রেকর্ড বের করে কয়েকশো একর জমি হাতিয়েছে দুষ্কৃতীরা! এই ঘটনায় ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের কেউ কেউও যে জড়িত থাকতে পারে, সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। তবে, বাইরের একটি ‘দালাল চক্র’ যে যুক্ত, সেই বিষয়ে ইতিমধ্যেই নাকি তদন্তকারীরা নিশ্চিত হতে পেরেছে। ২-৩ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলেও একটি সূত্র মারফত জানা গেছে। যদিও, সিআইডি’র তরফে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। কবে এই তদন্ত শেষ হবে, নাকি অনন্ত কাল ধরে চলবে, সেই উত্তরও পুলিশ-প্রশাসনের কাছে নেই! এর মধ্যেই, জেলা প্রশাসনের নির্দেশে শালবনী ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার কার্যালয়ে (BLRO) সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সিআইডি (CID)’র তরফে হয়তো জেলা প্রশাসনকে ‘ঘুঘুর বাসা’ সম্পর্কে কিছু তথ্য দেওয়া হয়েছে। আর তার ফলেই তড়িঘড়ি অফিসের ভেতরে-বাইরে বসানো হয়েছে ক্যামেরা! যদিও, দুষ্কৃতীদের বা প্রকৃত অপরাধীদের এখনও অবধি গ্রেফতার না করে, তাদের এইভাবে ‘সতর্ক’ করে দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন শালবনীর নাগরিক সমাজ।