দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ২৫ আগস্ট:”মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) জমানা শেষ। আদালতের সঙ্গে চালাকি করবেন না, হয় মামলা প্রত্যাহার করুন, নয়তো বিশাল অঙ্কের জরিমানা করব! দরকার হলে, আলাদা মামলা করুন, এই মামলাকে বিলম্বিত করবেন না। মামলাকে বিপথে চালিত করার চেষ্টা করবেন না, কেন করছেন আমি জানি!” বুধবার প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০১৭ টেট পাস এবং প্রশিক্ষণরত প্রার্থীদের আইনজীবীর উদ্দেশে এমনভাবেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পড়ে থাকা শূন্যপদ পরবর্তী নিয়োগে নিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন ওই আইনজীবী। আর, এতেই চটে যান বিচারপতি! এর ফলে যে, ‘মেধা’কে বঞ্চিত করে চরম ‘দুর্নীতি’ করা প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য-কেই সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হবে, তা অনুমান করেই ওই আইনজীবী-কে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এদিকে, তাঁর এই মন্তব্যের পর থেকেই বুধবার বিকেল থেকে বেপাত্তা মানিক ভট্টাচার্য! হন্যে হয়ে খুঁজছে ইডি। কিন্তু, কোত্থাও নেই ‘বরখাস্ত’ হওয়া পর্ষদ সভাপতি। তাই, তাঁর বাড়িতে লুক আউট নোটিশ ঝোলাতে, আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে ইডি (Enforcement Directorate)।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৪-র প্রাথমিক টেট দুর্নীতির মামলায়, ২০ জুন মানিক ভট্টাচার্যকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির পদ থেকে সরানোর নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। এই দুর্নীতি মামলায়, হাইকোর্টের নির্দেশে মানিককে ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। তবে, জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হয়নি এখনও। ইডি এবং সিবিআই আবারও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এরপর, যাদবপুরে মানিক ভট্টাচার্যর দু’টি ফ্ল্যাটে হানা দেন ইডি-র অফিসাররা। বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়। নদীয়ার পলাসীপাড়া’র বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের পলাসীপাড়ার বাড়াতেও হানা দিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। তবে, গত সাত দিন ধরেই তাঁকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছেনা বলে ইডি সূত্রে জানা গেছে। একের পর এক হাজিরা এড়িয়েছেন। বুধবার তাঁর সন্ধানে পলাসীপাড়া থেকে যাদবপুর সর্বত্র অভিযান চালানো হলেও, কোথাও পাওয়া যায়নি তাঁকে! তবে কি বিদেশে পালিয়ে গেলেন মানিক? অগাধ টাকাপয়সা আর সম্পত্তির মালিক মানিক ভট্টাচার্য’র গ্রেপ্তার হওয়া যে শুধুই সময়ের অপেক্ষা, তা একপ্রকার নিশ্চিত। তা বুঝতে পেরেই কি উধাও হয়ে গেলেন ‘মেধা-তত্ত্বের জনক’ (মিডিয়ার সামনে বারবার মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের কথা বলে, টাকার বিনিময়ে চরম দুর্নীতি করে নিয়োগ করায়, বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা এমন নামেই তাঁকে ডাকেন) মানিক ভট্টাচার্য? প্রশ্ন এখন সর্বত্র। আপাততো তাঁর বাড়িতে লুক আউট নোটিশ ঝোলাতে পারে ইডি। এমনটাই জানা গেছে।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৫ এপ্রিল: বছরভর নানা রূপে দেখা যায় পুলিশকে। কখনও…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৫ এপ্রিল: "তাকিয়ে আছি সুপ্রিম কোর্টের ১৭ এপ্রিলের শুনানির…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৩ এপ্রিল: একসঙ্গে দু-দুটি বিরল রোগ! দু-তিন বছর আগে…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১২ এপ্রিল: দীর্ঘ প্রায় দুই দশক পর প্রাথমিকে প্রধান…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১১ এপ্রিল: বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ (MBA) পড়ানো হয় সেই…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৯ এপ্রিল: অপেক্ষায় ছিলেন সহকর্মীরা। আশায় বুক বেঁধেছিলেন প্রধান…