দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১১ এপ্রিল:কেশপুরের বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় তদন্তে নামলো CBI (Central Bureau of Investigation)। নিহত বিজেপি কর্মী সুশীল ধাড়া’র মেয়ে সঙ্গীতা ধাড়া’র অভিযোগের ভিত্তিতে, মামলা রুজু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের। অভিযুক্ত ১২১ জন তৃণমূল নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধরানো হয়েছে নোটিশ। তার মধ্যে, কেশপুর ব্লকের ৭ জন তৃণমূল নেতা, আজ, সোমবার দুপুরে সিবিআই জেরার মুখোমুখি হল খড়্গপুরের ডিআরএম অফিসে। এই সাত নেতা হল, সেক আবু সায়েম, সেক আফতাবউদ্দিন, সেক ইসমাইল, লিয়াকত মল্লিক, ফরমান আলী খান, সেক গায়েন এবং সেক সদু। ডিআরএম অফিসের ১৪০ নং রুমে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

thebengalpost.net
৭ তৃণমূল নেতার হাজিরা :

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগগুলির তদন্ত ভার গ্রহণ করেছে সিবিআই। আর, বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল (২ মে, ২০২১) পরবর্তী সময়ে, একুশের ১৯ আগস্ট কেশপুরের কইগেড়িয়া বাজার এলাকায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বিজেপির নেতা সুশীল ধারাকে। ২২ আগস্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। এরপরই কেশপুরের বিজেপি নেতা সুশীল ধাড়া-কে খুনের অভিযোগ তোলেন মৃতার মেয়ে সঙ্গীতা ধাড়া চৌধুরি। ঘটনায় ১২১ জন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় সিবিআই এর কাছে। অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছেন খোদ কেশপুর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি থেকে কেশপুর ব্লকের ১৪-টি অঞ্চলের সভাপতি এবং কেশপুরের সমস্ত দাপুটে নেতা। সিবিআইয়ের তরফে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ।

thebengalpost.net
খড়্গপুর ডি আর এম অফিসে হাজিরা :

জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। আর, এ নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূল নেতা মহাম্মদ রফিকের দাবি, “রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা না করতে পেরেই সিবিআই-কে সামনে রেখে তৃণমূল নেতাদের হেনস্থা করার চেষ্টা করছে বিজেপি।” যদিও বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, “রাজ্যের পুলিশের উপরে ভরসা নেই সাধারণ মানুষের। সেই কারণেই আদালতের নির্দেশে সমস্ত ক্ষেত্রে তদন্তভার নিতে হচ্ছে সিবিআইকে।” সিবিআই সঠিক তদন্ত করে সাধারণ মানুষকে বিচার পাইয়ে দেবে বলে দাবি করেন দিলীপ ঘোষ।