দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ২৫ জুন: মাত্র ২২ বছরেই কোটি টাকার চাকরি রাঢ় বঙ্গের বিশাখ মন্ডল (Bisakh Mandal)-এর। কেরিয়ারের প্রথম লাফেই অবিস্মরণীয় সাফল্যের দোরগোড়ায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সের চতুর্থ বর্ষের কৃতি ছাত্র বিশাখ। গুগল (Google) আর ফেসবুক (Facebook) বিশাখকে নিয়ে প্রায় দড়ি টানাটানি করছে চাকরির প্রস্তাবে। বিশাখ বলেন, “ফেসবুক লন্ডন (Facebook London) দিয়েছে ১ কোটি ৮৩ লাখের প্রস্তাব। গুগল লন্ডন (Google London) দিয়েছে ১ কোটি ৪০ লাখের প্রস্তাব। অ্যামাজনের (Amazon) হলে ওটা ১ কোটি ১৩ লাখ। গুগল এবং ফেসবুকের সঙ্গে নেগোশিয়েশন চলছে আপাতত।'” বীরভূমের রামপুরহাটের ছেলে বিশাখ স্মরণ করিয়ে দেন, “আমার সাফল্যের পিছনে মায়ের অবদান বলে বোঝানো যাবে না।” জানান, রামপুরহাটের জিতেন্দ্রলাল বিদ্যাভবন থেকে তিনি মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। উচ্চ মাধ্যমিকে তাঁর স্থান ছিল দ্বাদশ। জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিয়ে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে ভর্তি হন যাদবপুরে। বিশাখের মা শিবানীদেবী অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। বাবা চাষবাস করেন। মূলত, মা আর দিদা’র ঐকান্তিক প্রচেষ্টাতেই কলকাতায় গিয়ে পড়াশোনা করেন বিশাখ।
সেই বিশাখ-কে প্রথমে গুগল লন্ডন থেকে এক কোটি চল্লিশ লক্ষ টাকার বার্ষিক প্যাকেজের চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হয়। তারপর, গত মঙ্গলবার রাত ১২টা নাগাদ ফেসবুক-লন্ডনের প্রস্তাব পান! বিশাখ বললেন, “মা ঘুমোচ্ছিল। ঘুম থেকে তুলে খবরটা দিলাম। খুব খুশি হয়েছে মা। পরিবারের অন্যেরাও খুব খুশি। সারা রাত আমি আর ঘুমোতে পারিনি।” তবে, আক্ষেপ একটাই বিশাখের প্রিয় দিদুন আর বেঁচে নেই! অগস্ট-সেপ্টেম্বর নাগাদ কাজে যোগ দেওয়ার কথা বিশাখের। উল্লেখ্য যে, তিন বছর বয়স থেকে একা লড়াই করে তাঁকে মানুষ করেছেন মা। বিশাখের বয়স যখন সবে তিন, মা-ছেলের সংসার টানতে শিবানীদেবী চাকরি নেন অঙ্গনওয়াড়িতে। শুরুতে ভাড়ার ঘরে থাকতেন, পরে আত্মীয়-পরিজনের সহযোগিতায় ছোট ফ্ল্যাটে উঠে যান তাঁরা।
ছেলে ফেসবুকে এমন চাকরি পেয়েছেন শুনে মা খুব খুশি। শিবানীদেবী বলেন, “ছেলেকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতাম। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর সামান্য বেতনে কুলোতে পারতাম না। বাপের বাড়ির সাহায্য ছাড়া এই জায়গায় পৌঁছনো মুশকিল ছিল।” শিবানী দেবী’র মা অর্থাৎ বিশাখের দিদুনের অবদান স্মরণ করছেন দু’জনই। তবে, তাঁরা ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-কেও। শিবানী দেবী বলেন, “রাজ্য সরকারের তরফ থেকে প্রতিবছর স্কলারশিপ পেত বলেই ছেলেকে কলকাতায় পড়াতে পেরেছি। আর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বিশ্বসেরা প্রতিষ্ঠানেও পড়াশোনার খরচ আমাদের আয়ত্তের মধ্যে ছিল। তাই, স্বপ্ন আমাদের সফল হয়েছে।” বিশাখকে নিয়ে যাদবপুরের মোট ১০ জন এ বার বার্ষিক এক কোটি টাকার বেশি প্যাকেজের চাকরি পেয়েছেন ইতিমধ্যে। তবে, প্রায় ২ কোটি টাকার চাকরি এই প্রথম! সহ-উপাচার্য স্যমন্তক দাস বলেন, “যাদবপুরে পড়ে ওরা এই সাফল্য পেয়েছে। পড়ুয়াদের এমন সাফল্যে আমরা আপ্লুত।” তিনি চান, এই সব পড়ুয়ারাও যেন নিজের মতো করে যাদবপুর তথা বাংলা-কে কিছু ফিরিয়ে দেন!
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…