দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২ এপ্রিল: ইতিহাস গবেষণার জন্য নিজের বাড়ি মেদিনীপুর কলেজকে দান করলেন কলেজেরই প্রাক্তনী তথা প্রখ্যাত ঐতিহাসিক ড. অন্নপূর্ণা চট্টোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতিহাস চর্চায় ও গবেষণায় অসামান্য সাফল্যের জন্য এই বছরই তিনি এশিয়াটিক সোসাইটির ‘আর পি চন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার’ এ সম্যানিত হয়েছেন। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি (২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে) বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে প্রদান করেছে ‘বিদ্যাসাগর পুরস্কার’। শনিবার তিনি মেদিনীপুর কলেজ (স্বশাসিত) এর অধ্যক্ষ ড. গোপাল চন্দ্র বেরার হাতে তাঁর উইল করা বাড়ির দলিল তুলে দেন। উল্লেখ্য যে, ড. চট্টোপাধ্যায় মেদিনীপুর কলেজের ছাত্রী ছিলেন। অধ্যাপনা করেছেন মেদিনীপুর শহরেরই উপকন্ঠে অবস্থিত রাজা নরেন্দ্রলাল খান মহিলা মহাবিদ্যালয় (স্বশাসিত) বা গোপ কলেজে।
৯১ বছর বয়সী প্রবীণ এই ঐতিহাসিক এশিয়াটিক সোসাইটির রিসার্চ ফেলো। ইতিহাস চর্চাতেই নিমগ্ন থেকেছেন আজীবন। তাই সংসার জীবনে আর প্রবেশ করা হয়নি! শনিবার কলেজে এসে জানালেন, আগে একই বাড়িতে যৌথ পরিবারে থাকতেন। তাঁর বইপত্র, গবেষণা সংক্রান্ত কাগজ, পাণ্ডুলিপি, পুরাতন সব দলিল দস্তাবেজে কয়েকটি ঘর ভরে উঠেছিল। এজন্য,
মেদিনীপুরের ক্ষুদিরাম নগরে মাইকো লেনে একটি দোতলা বাড়ি নির্মাণ করেন। ১৯৯৮ সাল থেকে সেখানেই একা থাকেন। ২ জন সর্বক্ষণের পরিচারিকা আছেন। তাঁরাই তাঁর দেখভাল করেন। সম্প্রতি, কলেজের ১৫০ বছর উদযাপন অনুষ্ঠানে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোর সময়ই তিনি কলেজকে এই প্রস্তাব দেন। ভালোবাসার টানে মেদিনীপুর কে.ডি কলেজ অফ কমার্স এলাকায় থাকা প্রায় ১.৬৭ একর জমির উপর বসত বাড়ি শনিবার তিনি মেদিনীপুর কলেজকে দান করেন। সেই জমিদানের নথি মেদিনীপুর কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র বেরার হাতে তুলে দেন। কলেজের অধ্যক্ষ ড. গোপাল চন্দ্র বেরা জানান, “উনি এখনও ইতিহাস চর্চাতে নিমগ্ন। বিশিষ্ট এই ইতিহাসবিদ, লেখিকা, সাহিত্যিক, গবেষিকা তথা ঐতিহাসিক মেদিনীপুর কলেজের প্রাক্তন ছাত্রী ড. অন্নপূর্ণা চট্টপাধ্যায়কে আজ (শনিবার) আমরা বিশেষ সম্মান জ্ঞাপন করতে পেরে ধন্য। উনি মেদিনীপুর কলেজের প্রাক্তনীর আজীবন সদস্যা এবং এশিয়াটিক সোসাইটির দ্বারা বিশেষ পুরস্কারে ভূষিতা। তাঁর এই অবদান কলেজ মনে রাখবে।” মেদিনীপুর কলেজের অধ্যক্ষ ড. গোপাল চন্দ্র বেরা এদিন এও জানান, প্রখ্যাত ঐতিহাসিক ড. অন্নপূর্ণা চট্টোপাধ্যায়ের জীবনে অর্জিত সমস্ত কিছু প্রদর্শনীর জন্য একটি গ্যালারী তৈরি করবে মেদিনীপুর কলেজ। যেখানে তাঁর লেখা সাহিত্য, ইতিহাস চর্চার বিভিন্ন গ্রন্থ প্রদর্শন করা হবে। যাতে ভবিষ্যত প্রজন্ম সেখান থেকে নতুন কিছু জানতে ও শিখতে পারে।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ নভেম্বর: দোকান বন্ধ করে রাতেই বেরিয়েছিলেন বাইক নিয়ে।…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…