দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ জুন:নজিরবিহীন ঘটনা বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে! বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক রঞ্জন চক্রবর্তী’র বিরুদ্ধে বর্তমান কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, গত ৫ জুলাই (২০২১) বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে তাঁর মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে। তবে, এখনও তাঁর কাছে আছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে দেওয়া ল্যাপটপ, মোবাইল, এমনকি একটি বিশেষ পুরস্কার-ও। যা আসলে বিশ্ববিদ্যালয়েরই সম্পত্তি। দায়িত্ব হস্তান্তরের সময় তা ফেরত দেওয়ার কথা। কিন্তু, ৫ জুলাই উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার পরের দিনই অর্থাৎ ৬ জুলাই সাতসকালেই তিনি পশ্চিম মেদিনীপুর ছেড়ে কলকাতায় ফিরে যান। ফেরত দিয়ে যাননি বা হস্তান্তর করে যাননি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সমস্ত জিনিসপত্র। এমনকি, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ডিজিটাল ক্যামেরাও তিনি সঙ্গে করে নিয়ে যান বলে অভিযোগ! পরবর্তী সময়ে সেটি অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে পাঠানো ‘দূত’ (বা, প্রতিনিধি) গিয়ে কলকাতা থেকে নিয়ে আসেন বলে জানা যায়। কিন্তু, এখনও তিনি ল্যাপটপ ও মোবাইল ফেরত দেননি বলে অভিযোগ! এই ঘটনা ঘিরেই এই মুহূর্তে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলা জুড়ে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অধ্যাপক রঞ্জন চক্রবর্তী এই মুহূর্তে নিজের পুরানো কর্মস্থল অর্থাৎ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত। প্রায় এক বছর হতে চললো বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, যে সকল সামগ্রী দায়িত্ব ছাড়ার পরদিন-ই হস্তান্তর করার কথা, তা এখনও নিজের কাছে রেখে দেওয়ায়, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ কমিটি (এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল) তাঁকে চিঠি পাঠায়। যদিও এদিন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানিয়েছে, “এই প্রথম নয়, এর আগে একাধিকবার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং তাঁকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তারপর, ডিজিটাল ক্যামেরা-টি ফেরত দিলেও, বাকি সামগ্রী এখনও ফেরত পাঠাননি!” তাই, সম্প্রতি (৯ জুন) এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল পুনরায় চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও, অধ্যাপক রঞ্জন চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, “আমি নিজে থেকে বারবার চিঠি পাঠিয়ে, এই সকল জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছি। সাড়া দেননি বর্তমান কর্তৃপক্ষ।” তবে, তাঁর এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, “একাধিকবার চিঠি পাঠানোর পর-ও উনি নিজে থেকে কোনো সামগ্রী-ই ফেরত পাঠাননি। এর আগে, আমাদের প্রতিনিধি গিয়ে ডিজিটাল ক্যামেরা ফেরত নিয়ে আসে। সেই সময়-ও উনি মোবাইল, ল্যাপটপ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পুরস্কার ফেরত দিতে পারতেন। তা দেননি। পরবর্তী সময়ে আরও কিছু শর্ত দেন উনি। সেই শর্ত মানেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল। তাই পুনরায় চিঠি পাঠানো হয়েছে।” যদিও, প্রাক্তন উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী, তাঁর ২ জুনের চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মে মাসের (১৭ মে) একটি চিঠির প্রত্যুত্তর দিয়েছেন বলে জানা গেছে। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, “এপ্রিল মাসের (১৬ এপ্রিল) চিঠির পর পুনরায় আপনাদের অনুরোধ করছি, আমার কলকাতার আবাসন থেকে এই সমস্ত সামগ্রীগুলি নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন।” আর, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, তিনি যেন অবিলম্বে ওই সমস্ত সামগ্রীগুলি পাঠানোর ব্যবস্থা করেন! আপাতত, এই বিতর্কের অবসান ঘটে না কি পুনরায় চিঠি-চালাচালি শুরু হয়, সেদিকেই তাকিয়ে সংশ্লিষ্ট মহল।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ নভেম্বর: দোকান বন্ধ করে রাতেই বেরিয়েছিলেন বাইক নিয়ে।…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…