দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ জুন: একাধিক মৃত্যুর বিনিময়ে অবশেষে টনক নড়ল প্রশাসনের! প্রসঙ্গত, সপ্তাহ তিনেক আগে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর গ্রামীণের সাহাচক সংলগ্ন গোকুলপুরে অবস্থিত রশ্মি গ্রুপের (Rashmi Group) ওড়িশা মেটালার্জিক্যাল কারখানায় পর পর দু’দিন কর্মরত দুই শ্রমিকের মৃত্যু ঘিরে উত্তাল হয় সমগ্র জেলা তথা রাজ্য। শ্রমিকদের সুরক্ষা বা নিরাপত্তার দাবিতে দলমত নির্বিশেষে পথ নামে বাম, বিজেপি, তৃণমূল। এরপরই নড়েচড়ে বসে রাজ্যের শ্রম দপ্তর এবং রশ্মি কর্তৃপক্ষ। শ্রম দপ্তরের অধীন ডাইরেক্টরেট অফ ফ্যাক্টরিসের উদ্যোগে এবং রশ্মি গ্রুপের সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৪টা অবধি সুরক্ষা সংক্রান্ত এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় ওড়িশা মেটালার্জিক্যাল কারখানায়। এই কর্মশালার নাম দেওয়া হয়েছিল- ‘সেফটি- ওয়ার্কিং অ্যাট হাইট’ অর্থাৎ নিরাপত্তার সাথে উঁচুতে কাজ। উল্লেখ্য যে, গত ২৯ মে কারখানার উঁচু জায়গা থেকে পড়েই রাহুল কুমার নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল। তার আগের দিনই অর্থাৎ ২৮-মে সুমিত দাস নামে আরও এক শ্রমিকের মৃত্যু হয় দুর্ঘটনায়।

thebengalpost.net
মহড়া:

এদিনের এই কর্মশালায় উপস্থিত রশ্মি গ্রুপের কয়েক শতাধিক শ্রমিকদের নিরাপত্তা বা সুরক্ষার পাঠ যেমন দেওয়া হয় ঠিক তেমনই হাতে কলমে দেখিয়ে দেওয়া হয় সেফটি বেল্ট পরে কিভাবে উঁচুতে কাজ করতে হয়। একইসঙ্গে, শ্রমিকদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বা সুরক্ষা দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকেও প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়। সাবধানতা অবলম্বন করে বা সতর্ক হয়ে শ্রমিকদের কাজ করার বার্তা দেওয়ার সাথে সাথেই তাঁদের পরামর্শ দেওয়া হয়, সেফটি বেল্ট সহ বিভিন্ন সেফটি কিট বা সেফটি টুলস ছাড়া কোনোভাবেই যেন তাঁরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উপরে বা উঁচুতে না ওঠেন! এক্ষেত্রে, কারখানা কর্তৃপক্ষ বা ম্যানেজমেন্টের অবহেলা ধরা পড়লে শ্রম আইন অনুযায়ী কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন কর্মশালায় উপস্থিত জয়েন্ট ডাইরেক্টরেট অফ ফ্যাক্টরিস শান্তনু ব্যানার্জি সহ দপ্তরের অন্যান্য অধিকারিকরা। কিন্তু, রাহুল কুমার সহ যে শ্রমিকরা ইতিমধ্যেই মারা গেছেন, সেক্ষেত্রে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বা নেওয়া হয়েছে? রাজ্য সরকারের আধিকারিকরা বলেন, “আইন মেনে আমরা তদন্ত চালাচ্ছি। মামলাও হয়েছে। তবে, যাতে এই ধরনের ঘটনা এখানে আর না ঘটে, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতেই আমরা সচেষ্ট!”

thebengalpost.net
শ্রমিকদের সুরক্ষার পাঠ: