দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৭ ফেব্রুয়ারি: অবেশেষে প্রায় ১৭ বছর পর আশার আলো দেখছে শালবনী। ২০০৮ সালের ২ নভেম্বর, তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য শিলান্যাস করলেও, পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনীতে জিন্দলদের ইস্পাত কারখানা হয়নি। বরং, মাও আন্দোলনের অন্ধকারে ডুব দিয়েছে শালবনী সহ সমগ্র জঙ্গলমহল। ক্ষমতা পরিবর্তনের পর, ২০১৮ সালে ইস্পাত কারখানার পরিবর্তে জিন্দলদের সিমেন্ট কারখানার উদ্বোধন করেছেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষোভে, হতাশায় কার্যত মুষড়ে পড়েন শালবনীবাসী। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছেলিন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। স্পেন থেকে জানিয়েছিলেন, শালবনীতে ইস্পাত কারখানা গড়বেন। সেটাও হয়নি! ফের একবার আশার আলো দেখালেন খোদ সজ্জন জিন্দল। পড়ে থাকা প্রায় ৩৫০০ একর জমিতে ৮০০ মেগা ওয়াটের দু’টি পাওয়ার প্ল্যান্ট (বিদ্যুৎ প্রকল্প) করার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। এজন্য প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
ফলে, প্রায় ১৭ বছর পরে, আবারও নতুন করে আশার আলো দেখছেন শালবনীবাসী। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের (BGBS-র) মঞ্চ থেকে সজ্জন ঘোষণা করেন, “শালবনীতে আমরা ১৬ হাজার কোটি টাকার বিনিময়ে দু’টি ৮০০ মেগা ওয়াটের পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরি করব।” এতেই বিপুল কর্মসংস্থানের আশা দেখছেন শালবনীবাসী। কারখানা সংলগ্ন কুলফেনি, জামবেদিয়া, আসনাশুলি, নতুনডিহি, বর্জু সহ ৩০টি গ্রামের জমিদাতারা চাইছেন, বিনিয়োগ আসুক, কর্মসংস্থান হোক।
আসানাশুলির আদিত্য মাহাত বলেন, “১৪ বছর ধরে আমরা বঞ্চিত। আমাদের শুধু প্রতিশ্রুতিই দেওয়া হচ্ছে। জমি দিয়েছিলাম ইস্পাত কারখানার জন্য। হল সিমেন্ট কারখানা। হাজার হাজার কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কর্মসংস্থান হলো মাত্র ৪০০-৫০০ জনের। এর মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দা মেরেকেটে ২০০ জন। ফের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে। হলে তো ভাল। আশা রাখবো বিদ্যুৎ প্রকল্প হলে আগে জমিদাতাদের প্রাধান্য দেওয়া হবে।” কুলফেনির বাসিন্দা অসিত মাহাত বলেন, “আর প্রতিশ্রুতি নয়, বাস্তবায়িত হোক। যেভাবেই হোক, বিনিয়োগ হোক। বিনিয়োগ হলেই কর্মসংস্থান হবে।” জমিদাতাদের নেতা পরিস্কার মাহাত বলেন, “শুধু তো আশা দেখানো হচ্ছে। শিল্প হচ্ছেনা। আমরা চাই, বিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ার যে ঘোষণা করেছেন সজ্জন জিন্দল, তা অবিলম্বে বাস্তবায়িত করা হোক।” শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নেপাল সিংহ বলেন, “আমরাও তো আশাবাদী। এই বিপুল পরিমাণ জমি পড়ে রয়েছে। শালবনীতে কোনও অশান্তি নেই, শ্রমিক আন্দোলন নেই। সেটা জিন্দল, ডালমিয়ারা স্বীকারও করেন! তারপরও এখনও কেন বড় শিল্প এলোনা, সেটা আমাদেরকেও ভাবায়।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৭ ফেব্রুয়ারি: কারও বাবা নেই। লোকের বাড়িতে কাজ করে…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৭ ফেব্রুয়ারি:'গুপ্তিপাড়ার বিশ্বম্ভর বাবু পালকি চড়ে চলেছেন সপ্তগ্রাম।' কিংবা,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৫ ফেব্রুয়ারি: ২০০৮-র পর ২০২৫। ১৭ বছর পর প্রাথমিকের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৫ ফেব্রুয়ারি: সরস্বতী পূজায় এ এক অন্য হাতে খড়ি!…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৪ ফেব্রুয়ারি: পাত্রী নবম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী। বয়স মাত্র…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২ ফেব্রুয়ারি: কথায় বলে, "যা নেই ভারতে (মহাভারতে), তা…