দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৬ মার্চ: “টাটানগরের ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দিয়ে টাটা হিটাচি (Tata Hitachi) তাদের পুরো প্ল্যান্ট নিয়ে আসছে খড়্গপুরে।” বুধবার নবান্ন সভাগৃহে পশ্চিমবঙ্গ ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রমোশন বোর্ডের সঙ্গে রাজ্যের নতুন শিল্প সম্ভাবনা সংক্রান্ত বৈঠকে ঠিক এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এও জানান, “এর ফলে বিপুল কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।” স্বাভাবিকভাবেই তাঁর এই ঘোষণায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে খুশির হাওয়া‌। যদিও, কবে তা হবে, সেই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বা টাটা গোষ্ঠীর তরফে বিশদে জানা যায়নি।

thebengalpost.net
বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়:

উল্লেখ্য যে, মূলত মেশিন তৈরি করে এই টাটা হিটাচি (Tata Hitachi)। টাটা ও হিটাচির যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই সংস্থা। খড়্গপুরে জাতীয় সড়কের পাশে রূপনারায়নপুর এলাকায় তাদের একটি ফ্যাক্টরি বা প্ল্যান্ট আছে। ঝাড়খণ্ডের টাটানগরেও ছিল সংস্থার সুপ্রাচীন প্ল্যান্ট। এবার, সেই প্ল্যান্ট সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিয়ে খড়্গপুরে আসবে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। সমালোচকেরা বলছেন, বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন (২০০৮ সালে) মুখ্যমন্ত্রীর লাগাতার অনশন-আন্দোলনেই সিঙ্গুর থেকে পাততাড়ি (‘ন্যানো কারখানা’) গোটাতে হয়েছিল টাটা গোষ্ঠীকে। তাই, টাটা গোষ্ঠী যদি এবার সত্যি সত্যিই রাজ্যে কয়েক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে, তবে এতদিন পরে হয়তো মুখ্যমন্ত্রীর মুখরক্ষা হতে পারে! বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় মেট্রোর কোচ তৈরি বা ওয়াগন তৈরির মতো প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে বিপুল কর্মসংস্থানের বিষয়েও আশা দেখিয়েছেন। একইসঙ্গে, রঘুনাথপুর-ডানকুনি-হলদিয়া-তাজপুর করিডোর (৪০০ কিমি), ডানকুনি-কল্যাণী করিডোর (৪৩ কিমি) এবং ডানকুনি-খড়্গপুর করিডোর (১৬০ কিমি) এর বিষয়টিও উল্লেখ করেন।