দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১ মে: “আমরা জানিনা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের এতটা দুর্দশা কেন হল! ওঁকে তো খেলোয়াড় হিসেবে, ক্রিকেটার হিসেবে বাংলার মানুষ যথেষ্ট সম্মান করতেন। মুখ্যমন্ত্রীর (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের) ট্র্যাপে (ফাঁদে) পা দিয়ে হঠাৎ বিদেশে (স্পেনে) গিয়ে কেন এরকম মিথ্যে কথা বলতে গেলেন! এভাবে বাংলার মানুষের সাথে প্রতারণা নাও করতে পারতেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।” বুধবার (১ মে) মেদিনীপুর শহরের জেলা কার্যালয়ে (সিপাইবাজারে) সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনীতে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রস্তাবিত ইস্পাত কারখানার প্রসঙ্গ টেনে ঠিক এভাবেই ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ককে কটাক্ষ করেছেন আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক তথা মেদিনীপুর লোকসভার বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল। অগ্নি’র সংযোজন, “আমরা তো এতটাও বোকা নই! আমরা তো প্রথম থেকেই বলে আসছি, এটা পুরোটাই ধোঁকা। বাংলার মানুষ তথা মেদিনীপুরের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা মাত্র! দেখা যাক, আমরাও অপেক্ষা করে আছি, দেখি শালবনীর কারখানা থেকে কবে ধোঁয়া বেরোয়!”

thebengalpost.net
শালবনীতে জিন্দলদের (JSW) সিমেন্ট কারখানা (ফাইল ছবি):

উল্লেখ্য যে, এর আগে সিঙ্গুরে যাওয়ার পথে প্রচুর ‘ধোঁয়া’ দেখতে পেয়ে অভিনেত্রী তথা হুগলির তৃণমূল প্রার্থী রচনা ব্যানার্জি শিল্প নিয়ে ‘বেফাঁস’ মন্তব্য করে বসেছিলেন! ফলস্বরূপ এখনও নেট দুনিয়ায় তাঁকে কটাক্ষের স্বীকার হতে হচ্ছে। এদিন, একযোগে সৌরভ গাঙ্গুলী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে কটাক্ষ করতে গিয়ে অগ্নিমিত্রা সুকৌশলে রচনা ব্যানার্জির সেই ‘ধোঁয়া’ প্রসঙ্গকেই টেনে এনেছেন। একইসাথে, অগ্নিমিত্রা অবশ্য সাংসদ হলে মেদিনীপুরে শিল্প আনার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। অপরদিকে, অগ্নিমিত্রাকে পাল্টা আক্রমণ করেছেন শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ তথা রাজ্য যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সন্দীপ সিংহ। সন্দীপ জানিয়েছেন, “উনি আসলে জানেন না, শালবনীতে JSW-র যে জমিতে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ইস্পাত কারখানা গড়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, জমি হস্তান্তরজনিত জটিলতার কারণে ওখানে JSW কর্তৃপক্ষই ভারী শিল্প করবেন। আর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রস্তাবিত ইস্পাত কারখানা হতে পারে, চন্দ্রকোনা রোডের (ডুকি সংলগ্ন) প্রয়াগ ফিল্ম সিটির ইউনিট-ওয়ানের অব্যবহৃত জমিতে। সেই কাজ অনেকটাই এগিয়েছে বলেও আমরা জানি। আর উনি (অগ্নিমিত্রা পাল) তো মেদিনীপুরে নতুন এসেছেন, তাই হয়তো জানেন শালবনীতে একাধিক কারখানা ইতিমধ্যেই আছে। উনি যে শিল্পের ‘ধোঁয়া’ দেখতে চাইছেন, তা শালবনীর আশেপাশে গেলে সত্যি সত্যিই দেখতে পাবেন!”