মণিরাজ ঘোষ, খড়্গপুর, ১৮ ডিসেম্বর: “চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির/জ্ঞান যেথা মুক্ত, যেথা গৃহের প্রাচীর” (Where the mind is without fear and the head is held high;
Where knowledge is free; Where the world has not been broken up into fragments by narrow domestic walls)- ‘কবিগুরু’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মরণীয় পংক্তিগুলি (“নৈবেদ্য” কাব্যের ৭২ সংখ্যক কবিতা) উচ্চারণ করেই আইআইটি খড়্গপুরের (IIT Kharagpur) ৬৯-তম সমাবর্তনে নিজের ১৩ মিনিটের বক্তৃতা শেষ করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। পড়ুয়াদের উদ্দেশ্যে মাথা উঁচু করে, সমাজ ও মানবতার স্বার্থে নিজেদের নিয়োজিত করার বার্তা দিলেন রাষ্ট্রপতি। উদ্ভাবনী শক্তি ও প্রযুক্তির জয়গান গেয়ে ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে ফের ‘জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন’ এ পৌঁছে দেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রযুক্তির মাধ্যমেই এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে দেশকে। তবে, তা কখনোই মানবতাকে বিসর্জন দিয়ে নয়। পড়ুয়াদের ‘নির্ভীক’ ও ‘বিনয়ী’ হওয়ার পরামর্শও দেন রাষ্ট্রপতি। নারী-সশক্তিকরণের বার্তাও দিয়েছেন দেশের ১৫-তম রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, “এটা জানাতে গর্ববোধ হচ্ছে যে, আজকের সমাবর্তনে ডিগ্রি প্রাপকদের (৩২০৫ জন) মধ্যে ২১ শতাংশই আমাদের ‘বেটিয়া’। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জগতে তাঁদের আরও এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানাই।” সোমবার দেশের প্রাচীনতম প্রযুক্তিবিদ্যার পীঠস্থান আইআইটি খড়্গপুরের ৬৯-তম সমাবর্তনে উপস্থিত হয়ে দেশ থেকে উচ্চ-নীচ ভেদাভেদ, সংকীর্ণতা দূর করে আগামী দিনে ভারত-কে আরো শক্তিশালী দেশ হিসেবে তৈরি করার আহ্বানও জানান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। একই সঙ্গে তাঁর আক্ষেপ, “ভারতের মতো এক সুপ্রাচীন ও ঐতিহ্যশালী একটি দেশের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ৫০-টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকায় নেই!” এ নিয়ে দেশের প্রাচীনতম আইআইটি তথা খড়্গপুর আইআইটি’র পড়ুয়া ও শিক্ষকদের কাছে ‘সুগভীর’ এক বার্তা দেন রাষ্ট্রপতি।
প্রসঙ্গত, আইআইটি খড়্গপুর সহ ভারতের বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (আইআইটি মাদ্রাজ, আইআইটি মুম্বই, আইআইটি দিল্লি, আইআইএসসি বেঙ্গালুরু সহ) বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ১০০-টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকলেও, এখনও প্রথম ৫০- এ পৌঁছয়নি! তবে, তিনি (রাষ্ট্রপতি) আশা প্রকাশ করেছেন, যেভাবে আইআইটি খড়গপুর (IIT Kharagpur) বিশ্বায়নের স্বার্থে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে বিভিন্ন গবেষণা করে চলেছে তাতে দেশের গৌরব বৃদ্ধি হচ্ছে ক্রমশ! প্রযুক্তির জন্যই যে দেশের একজন ছোট্ট দোকানদারের কাছেও এখন ইউপিআই-র সুবিধা পৌঁছে গেছে, তাও স্মরণ করেন রাষ্ট্রপতি। একইসঙ্গে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর ভারতের জয়গান গেয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, “বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য প্রতিটি ক্ষেত্রে দেশ এগোচ্ছে। কয়েক শতাব্দী আগেও যা ‘মহামারী’ ছিল, তাকেও জয় করা সম্ভব হয়েছে।” দেশের প্রতিটি নাগরিক যাতে বিজ্ঞান ও মানবতার সুফল ভোগ করেন, ভয়ডরহীন ভাবে এ দেশে বসবাস করতে পারেন- আইআইটি খড়্গপুরের পড়ুয়াদের সেই স্বার্থেই নিয়োজিত করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এদিন, আইআইটি খড়্গপুরের (IIT Kharagpur) প্রাক্তন অধ্যাপক রামচন্দ্র প্রভাকর গোকার্নের হাতে ‘লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কার- ২০২৩’ তুলে দেন রাষ্ট্রপতি। পাশাপাশি ‘লাইফ ফেলোশিপ পুরস্কার’ তুলে দেন বিজয় কুমার সরস্বত, রবি কুমার ভাস্করণ, শ্রী ক্রিস গোপালকৃষ্ণন, ভি নারায়ণা প্রমুখের হাতে। উল্লেখ্য যে, এদিনের অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী উপস্থিত হতে পারেননি। তবে, আইআইটি’র আমন্ত্রণে এসেছিলেন রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী ডাঃ মানস রঞ্জন ভুঁইয়া।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…