দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৪ মে: খড়গপুর সদরের বিধায়ক তথা ঘাটাল লোকসভার বিজেপি প্রার্থী হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায় (হিরণ)-র ‘ডক্টরেট’ (Dr.) ডিগ্রি ‘ভুয়ো’ অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে আম আদমি পার্টি (আপ)। হিরণের প্রার্থী পদ বাতিলের আবেদনও জানানো হয়েছে। তাঁদের দাবি, হিরণ তাঁর হলফনামায় উল্লেখ করেছেন তিনি আইআইটি খড়্গপুর (IIT Kharagpur) থেকে গবেষণা করছেন। আপের দাবি, সেই তথ্য ‘ভুয়ো’। তাঁদের বক্তব্য, বিজেপি প্রার্থী হিরণ আইআইটি (IIT) থেকে কোনও গবেষণা করছেন না। আরটিআই বা তথ্য জানার অধিকার আইন (RTI Act, 2005)-এর মাধ্যমে আইআইটি খড়্গপুরের তরফে এই তথ্য পাওয়া গেছে বলেও দাবি করেছে আপ। আর তারপরই আপের এই দাবি-কে ‘অস্ত্র‘ করে আসরে নেমেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। হিরণ-কে ‘ভুয়ো ডক্টরেট’ হিসেবে সমাজ মাধ্যমেও বিদ্ধ করা হচ্ছে! এক্স হ্যান্ডেলে (টুইটারে) হিরণকে ব্যঙ্গ করে পোস্ট করেছেন তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ দেব ওরফে দীপক অধিকারীও।
যদিও, বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ এই ঘটনা নিয়ে ‘জল ঘোলা’ হওয়ার পরই একদিকে যেমন প্রকাশ্যে এসেছে আইআইটি খড়্গপুর (IIT Kharagpur) প্রদত্ত সেই আরটিআই (RTI) এর উত্তর। ঠিক তেমনই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন স্বয়ং হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায়-ও। আইআইটি খড়্গপুর (IIT Kharagpur) এর পাবলিক ইনফরমেশন অফিসার (Animesh Kumar Naskar) প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, ড. হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায় ‘সরাসরি’ আইআইটি খড়্গপুর (IIT Kharagpur) এর কোনও গবেষণা-কর্মের সঙ্গে যুক্ত নন। তিনি আইআইটি খড়্গপুরের গবেষক (Research Fellow), কর্মী (Employee) বা পড়ুয়া (Student)-ও নন। শুধুমাত্র একটি বেসরকারি সংস্থার প্রজেক্টে (Sponsored Project) পোস্ট পিএইচডি গবেষণা (Post PhD Research) করছেন অধ্যাপক সুমন চক্রবর্তী-র অধীনে। এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হিরণ-ও প্রতিটি বিষয় স্পষ্ট করেছেন। তাঁর বক্তব্যের স্বপেক্ষে তথ্য বা ডকুমেন্টস (Documents) ও তুলে ধরেছেন। হিরণ জানিয়েছেন, তিনি পিএইচডি (PhD) করেছেন বা ডক্টরেট (Dr.) ডিগ্রি লাভ করেছেন মেঘালয়ার প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি (Private University) সিএমজে বিশ্ববিদ্যালয় (CMJ University) থেকে। এরপর, আইআইটি খড়্গপুর (IIT Kharagpur) থেকে তিনি ‘পোস্ট পিএইচডি’ করছেন (২০২৩ সালের মে মাস থেকে)। তাঁর এই তিন বছরের গবেষণাটি ‘স্পনসর্ড’ (Sponsored) বলেও জানিয়েছেন তিনি। বেসরকারি এক সংস্থার হয়ে তিনি গবেষণা করছেন আইআইটি খড়্গপুরের (IIT Kharagpur) ‘জাতীয় পুরস্কার’ প্রাপ্ত অধ্যাপক ‘প্রফেসর’ ড. সুমন চক্রবর্তী (Professor Suman Chakraborty)-র অধীনে। হিরণ এই সংক্রান্ত যে তথ্য প্রদান করেছেন, সেখানেও এই বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত একটি বিষয়ে তিনি একটি বেসরকারি সংস্থার আর্থিক সহায়তায় (Sponsored Project) আইআইটি খড়্গপুরের বিশিষ্ট অধ্যাপক তথা বিজ্ঞানক্ষেত্রে ভারতের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার’-প্রাপ্ত (পেয়েছেন ইনফোসিস পুরস্কারও) প্রফেসর সুমন চক্রবর্তী-র অধীনে পোস্ট পিএইচডি (Post PhD) গবেষণা করছেন।
এরপরই হিরণের কটাক্ষ, রাজনীতি করেন এমন অনেকেরই পিএইচডি বা পোস্ট পিএইচডি সম্পর্কে ধারণা নেই। পাশাপাশি হিরণ জানিয়েছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পোস্ট পিএইচডি করার সময় কোনও সংস্থার হয়ে গবেষণা করতে হয়। হিরণ এও মনে করিয়ে দিয়েছেন, “আমি পিএইচডি না করলে, আইআইটি খড়্গপুরের মতো একটি বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আমাকে পোস্ট পিএইচডি করার সুযোগ দেবে কেন!” আর, দেবের উদ্দেশ্য তাঁর কটাক্ষ, “যে নিজে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেনি, তাঁর এই সংক্রান্ত কথা আপনারা বিশ্বাস করছেন কেন!” হিরণ জানিয়েছেন, তিনি নিজের হলফনাফায় এই পোস্ট পিএইচডি সংক্রান্ত গবেষণার কথাই উল্লেখ করেছেন। যদিও, এই গবেষণাটি ওই সংস্থার অধীনে নাকি আইআইটি খড়্গপুরের (IIT Kharagpur) অধীনে, তা নিয়ে যাঁরা প্রশ্ন তুলছেন, তাঁদের আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন হিরণ। এই বিষয়ে ওই প্রজেক্টের (Project) কো-অর্ডিনেটর তথা এশিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীদের মধ্যে অন্যতম অধ্যাপক সুমন চক্রবর্তী প্রদত্ত যে তথ্য সামনে এসেছে, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, আইআইটি খড়্গপুরের অধীন কোনও গবেষণা-কর্ম (Research) নয়, একটি বেসরকারি সংস্থার আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত পোস্ট পিএইচডি সংক্রান্ত গবেষণা করছেন ড. হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায় (Post Ph.D Research Fellow is paid fully by the Private Sponsor of the Project RWB)।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…