মণিরাজ ঘোষ, খড়্গপুর, ১৮ আগস্ট: ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট দেশ স্বাধীন হয়েছিল। আর, ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দের ১৮ আগস্ট দেশের প্রাচীনতম আইআইটি (Indian Institute of Technology) হিসেবে পথচলা শুরু করেছিল আইআইটি খড়্গপুর (IIT Kharagpur)। রবিবার (১৮ আগস্ট) ছিল ভারতের প্রাচীনতম এই প্রযুক্তিবিদ্যার প্রতিষ্ঠানের ৭৪তম প্রতিষ্ঠা দিবস। সদ্য (১২ আগস্ট) প্রকাশিত NIRF র্যাঙ্কিংয়ে (NIRF Ranking 2024) গবেষণা ক্ষেত্রে সারা দেশে ‘চতুর্থ’ এবং সার্বিকভাবে ‘ষষ্ঠ’ স্থান অধিকার করা আইআইটি খড়্গপুরের এই ৭৪তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে রবিবার (১৮ আগস্ট) যেন ‘চাঁদের হাট’ বসেছিল প্রতিষ্ঠানের নেতাজি অডিটোরিয়ামে। উপস্থিত হয়েছিলেন ভারতের G20 শেরপা (কাণ্ডারী বা নেতৃত্বদানকারী) তথা নীতি আয়োগের (NITI Aayog) প্রাক্তন চেয়ারম্যান অমিতাভ কান্ত (Amitabh Kant), ইসরো’র চেয়ারম্যান (Chairman, ISRO) ড. এস সোমনাথ (S. Somanath), ডিআরডিও’র চেয়ারম্যান (Chairman, DRDO) ড. সমীর ভি. কামাট এবং ‘পদ্মবিভূষণ’ প্রাপ্ত কিংবদন্তী নৃত্যশিল্পী তথা রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ ড. সোনাল মানসিং (Sonal Mansingh) প্রমুখ।
এদিনের অনুষ্ঠানে টানা ২৫ বছর ধরে পরিষেবা প্রদানকারী আইআইটি খড়্গপুরের (IIT Kharagpur) ৭৪ জন কর্মীকে সম্মানিত করা হয়। এছাড়াও, উদ্ভাবন, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, গবেষণা, নেতৃত্বদান, জাতি গঠন তথা জাতীয় স্বার্থে নিয়োজিত IIT খড়্গপুরের ৩২ জন প্রাক্তনীকে ইয়ং অ্যালামনাই অ্যাচিভার অ্যাওয়ার্ড (Young Alumni Achievers Award) দেওয়া হয়। এদিন ‘লাইফ ফেলো পুরস্কার’ (Life Fellow Award)-এ সম্মানিত ইসরো’র চেয়ারম্যান এস. সোমনাথ বলেন, “আইআইটি খড়্গপুর (IIT Kharagpur) আমাকে লাইফ ফেলো পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করায় আমি গর্বিত। ৩৮ বছর ধরে যেভাবে এই সংস্থায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি, সেভাবেই আগামী দিনগুলোতেও দেশের জন্য নিজের ১০০ শতাংশ নিংড়ে দিতে চাই।” আইআইটি খড়্গপুরের (IIT Kharagpur) ‘প্রাক্তনী’ তথা DRDO-র চেয়ারম্যান সমীর ভি. কামাট বলেন, “আজ আমি যা কিছু, তাতে আইআইটি খড়্গপুরের অবদান সর্বাধিক। এই লাইফ ফেলো পুরস্কারের জন্য আমি সম্মানিত, আপ্লুত।” ভারতের জি-২০ শেরপা (G20 Sherpa) অমিতাভ কান্ত বলেন, “উন্নততর ভারতের জন্য সর্বোচ্চ মানের গবেষণা বা উদ্ভাবনের প্রয়োজন। আর সেখানে আইআইটি খড়্গপুর (IIT Kharagpur) এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেই আমরা আশাবাদী।”