দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ২১ ফেব্রুয়ারি: র্যাগিং এর কারণেই মৃত্যু আইআইটি খড়্গপুরের (IIT Kharagpur) মেধাবী ছাত্রের! মাত্র ২৩ বছর বয়সেই মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ফাইজান আহমেদ (Faizan Ahmed)-কে পৃথিবী ছাড়তে হয়। গত ১৪ অক্টোবর (২০২২)- এর মর্মান্তিক সেই ঘটনায় অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা’র কড়া অবস্থানে IIT খড়্গপুরের ৫ পড়ুয়া সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা (Suo Motu) রুজু করে তদন্ত শুরু করল খড়্গপুর টাউন থানা (Kharagpur Town)। গতকাল অর্থাৎ সোমবারই কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা’র এজলাসে শুনানির পর, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের অধীন খড়্গপুর টাউন থানা স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে। প্রসঙ্গত, খড়গপুর আইআইটি (IIT Kharagpur)’র মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্র (Student of Mechanical Engineering) ফইজান আহমেদের মৃত্যুতে সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে বিশিষ্ট ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ এ কে গুপ্তের মতামত জানতে চেয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) এর বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তারপরই নিজেদের পুরানো’অবস্থান’ থেকে সরে আসে পুলিশ।
উল্লেখ্য যে, এর আগে জেলা পুলিশ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট উল্লেখ করে জানিয়েছিল, ওই ছাত্র আত্মহত্যাই করেছেন। এই রিপোর্ট নিয়ে কোনও মতামত না দিলেও তা নিয়ে সন্দিহান বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তাঁর নির্দেশ, এই মামলার যাবতীয় নথি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এ কে গুপ্তর কাছে পাঠাতে হবে। এদিকে, আইআইটি (IIT Kharagpur)’র ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই মৃত্যুতে প্রতিষ্ঠানের কোনও দায় নেই। তাদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়েরের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে আইআইটি। তাঁদের তরফে বলা হয়, ফইজান আহমেদ নামে ওই ছাত্র গরমের ছুটিতে বাড়িতে না গিয়ে হস্টেলেই ছিলেন। ৭০টি জায়গায় আবেদন করার পরেও কোথাও চাকরি পাননি তিনি। অথচ তাঁর বন্ধুরা চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। এই অবসাদেই তিনি ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেন। কোনও মারামারির ঘটনা ঘটেনি! এরপরই বিচারপতি বলেন, এখন আর একবারের ময়নাতদন্তে ভরসা করা যাচ্ছে না। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়-ও জানান, র্যাগিং এর ঘটনায় আইআইটি কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এরপরই, খড়্গপুর টাউন থানার তরফে সুনির্দিষ্ট ধারায় (Indian Penal Code and the West Bengal Prohibition of Ragging in Educational institution Act 2000) মামলা রুজু করা হয় ৭ জনের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য যে, গত ১৪ অক্টোবর (২০২২) আইআইটি খড়্গপুরের লালা লাজপত রায় হস্টেল থেকে ফাইজানের পচা গলা মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ। সেই ঘটনাতেই অবশেষে ৫ পড়ুয়া (সহপাঠী), ১ অধ্যাপক এবং ১ প্রাক্তন হোস্টেলে ওয়ার্ডেনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে যথাযথ তদন্ত শুরু করল জেলা পুলিশ।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…