দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, বাঁকুড়া, ২৫ মার্চ: মানবসেবাই তাঁর কাছে পরমধর্ম। শিক্ষকতার মতো মহান একটি পেশার সাথে তিনি যুক্ত; আর আর্ত, অসহায় মানুষের পাশে থাকাই তাঁর ব্রত। তিনি জঙ্গলমহলের মানবদরদী শিক্ষক হেরম্ব নাথ চক্রবর্তী। মানবিকতার তাগিদ থেকে দুই ক্যান্সার আক্রান্ত ক্ষুদে পড়ুয়ার পাশে দাঁড়িয়ে আবারও নিজের মহানুভবতার পরিচয় দিলেন তিনি। বাঁকুড়া জেলার তালডাংরা থানার তিলাবনি গ্রামের বাসিন্দা শেখ আব্দুল সাদেক এর পুত্র শেখ আনাস শিশু শ্রেণির ছাত্র। সম্প্রতি, বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গেলে, বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায়, এই ছোট্ট শিশুর শরীরে বাসা বেঁধেছে মারণ রোগ ক্যানসারের উপসর্গ। তার জীবন দীপকে প্রজ্বলিত রাখার জন্য প্রয়োজন অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপন বা বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট (Bone Marrow Transplant)। দারিদ্র্যের সাথে লড়াই করা এই পরিবারটির পক্ষে এই বিপুল পরিমান খরচ বহন করা অসম্ভব ! তাই, পুত্রের জীবনের তাগিদে অসহায় এই পরিবার আর্থিক সাহায্যের জন্য বিভিন্ন স্তরে আবেদন জানায়। অন্যদিকে, বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর থানার দ্বারিকা গ্রামের বাসিন্দা রাজকুমার নন্দীর মেয়ে খুশি নন্দী ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। এই শিশুটিও এই মারণ রোগের শিকার। তারও, প্রাণ-প্রদীপ প্রজ্বলিত রাখার জন্য প্রয়োজন অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপন বা বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট। এই চিকিৎসার জন্য বিপুল খরচ বহন করাও ওই পরিবার টির পক্ষে অসম্ভব!
খবর পেয়ে এই দুটি পরিবারের সাথেই যোগাযোগ করেন হেরম্ব বাবু। তাঁদের পাশে গিয়ে দাঁড়ান মানবদরদী এই শিক্ষক। ক্যান্সারাক্রান্ত এই দুই শিক্ষার্থীর চিকিৎসার জন্য প্রত্যটি পরিবারকে দশ হাজার করে, মোট কুড়ি হাজার টাকা দু’টি পরিবারের হাতে তুলে দেন হেরম্ব বাবু। উল্লেখ্য, হেরম্ব বাবুর বাড়ি বাঁকুড়া জেলার তালডাংরা থানার হাড়মাসড়া গ্রামে। তিনি কদমা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক। হেরম্ব বাবুর বাবা পন্ডিত তারানন্দ চক্রবর্তী ছিলেন বাঁকুড়া জেলার সারেঙ্গা থানার জাম্বনি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন ছাত্র দরদী ও মানবদরদী শিক্ষক। সমাজ ও শিক্ষায় উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ২০০১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর দিনটিতে, নতুন দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে তৎকালীন ভারত সরকারের কাছ থেকে তারানন্দ বাবু পেয়েছিলেন “জাতীয় শিক্ষক” এর বিরল সম্মান। তাঁর আদর্শকেই পাথেয় করে এগিয়ে চলেছেন তাঁর সুযোগ্য পুত্র হেরম্ব নাথ চক্রবর্তী। হেরম্ব বাবু জানান, “এই সমস্ত জনহিতকর সামাজিক কর্মকাণ্ডে বাবা বরাবরই পাশে থেকেছেন উৎসাহ দিয়েছেন। এই ভাবেই তিনি এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…