দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩ মে:গত কয়েকদিন ধরে গ্রামে চলছিল হরিনাম সংকীর্তন। সোমবার-ই ছিল সেই অনুষ্ঠানের শেষদিন। আর, শেষদিনেই ঘটল অঘটন! পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গোয়ালতোড় থানার কিয়ামাচা এলাকায় কীর্তনের প্রসাদ খেয়ে গ্রামের অধিকাংশ মানুষই অসুস্থ হয়ে পড়লেন। সেই তালিকায় আবার শিশু ও মহিলার সংখ্যাই বেশি। সবমিলিয়ে ৫৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে বলে জানা গেছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে। সকলেরই উপসর্গ প্রায় একই। পেটের যন্ত্রণা, বমি প্রভৃতি। প্রাথমিক ভাবে তাই মনে করা খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে বা প্রসাদে বিষাক্ত কিছু পড়ে যাওয়ার কারণেই, গ্রামের এতজন মানুষ একসঙ্গে অসুস্থ হয়েছেন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ ভুবন চন্দ্র হাঁসদাও প্রাথমিকভাবে তেমনটাই মনে করছেন। তিনি জানিয়েছেন, গতকাল রাত থেকেই স্বাস্থ্য দপ্তরের দল পৌঁছে গেছে ওই গ্রামে। এই মুহূর্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

thebengalpost.net
হাসপাতালে স্থানীয়দের সাথে কথা বলছেন পুলিশ প্রশাসনের লোকজন:

উল্লেখ্য যে, সোমবার বিকেল নাগাদ হরিনাম সংকীর্তন বা কীর্তন অনুষ্ঠানের প্রসাদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন শতাধিক মানুষ। এর মধ্যে একাধিক শিশুও আছে। আছেন মহিলারা। অসুস্থদের মধ্যে প্রায় ৫৬ জনকে স্থানীয় কেওয়াকোল প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও দ্বারিগেড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে, প্রায় ৩৫ জনের অবস্থা তুলনামূলক গুরুতর হওয়ায়, রাতের মধ্যে তাদের শালবনী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার সকালে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, একাধিক শিশু সহ প্রায় প্রত্যেকের শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। অন্যদিকে, শালবনী ছাড়া বাকি ২১ জন চিকিৎসাধীন আছেন কেওয়াকোল ও দ্বারিগেড়িয়া হাসপাতালে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই গ্রামে‌ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তরের লোকজন আছেন। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ ভুবন চন্দ্র হাঁসদা এবং ‌জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র।