দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৫ ডিসেম্বর: মাত্র ৬ দিনের মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার একটি পরিবারের দু’জনের একই উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হল! ওই একই উপসর্গ নিয়ে ওই পরিবারেরই তিনজন চিকিৎসাধীন আছেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর থানার জামিরা গ্রামের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলাজুড়ে। তদন্ত শুরু করেছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। জানা গেছে, জামিরা গ্রামের বাসিন্দা শেখ রওশন আলী’র পরিবারে, এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁর দুই যুবক ছেলের মৃত্যু হয় এবং তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রত্যেকেরই উপসর্গ বমি ও পায়খানার। শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের বিশেষ দল ওই গ্রাম পরিদর্শনে গিয়েছিল। সংগ্রহ করা হয়েছে ওই এলাকার পানীয় জলের নমুনা। এছাড়াও, ওই পরিবারের খাওয়ারের নমুনা এবং পরিবারের প্রত্যেকের সোয়াব সংগ্রহ করে কলকাতায় পাঠানো হচ্ছে বিশেষ পরীক্ষার জন্য। তবে, ওই পরিবারটি ছাড়া ওই গ্রামের অন্য কোন পরিবারে এই ধরনের উপসর্গ দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ ভুবন চন্দ্র হাঁসদা।
ঘটনার সূত্রপাত গত ১৭ ডিসেম্বর। ১৭ ডিসেম্বর শেখ রওশন আলীর কলকাতায় থাকা ছোটো ছেলে শেখ রাজিব আলীর (ফিরোজ) হঠাৎ করে বমি ও পায়খানা শুরু হয়। তারপর তাঁকে সেখানেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং বাড়িতে খবর দেওয়া হয়। শনিবার অর্থাৎ ১৮ ডিসেম্বর সকালে কলকাতার হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এদিকে, গত ২২ ডিসেম্বর, বুধবার তাঁর বড় ছেলে শেখ সাহেব আলীও অসুস্থ হয়ে যায়। তারও বমি-পায়খানা শুরু হয়। তড়িঘড়ি তাকে কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু, ভর্তি করার আধ ঘণ্টার মধ্যেই বুধবার দুপুর নাগাদ তার মৃত্যু হয়! বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) ওই একই উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ হয় রওশন আলীর স্ত্রী ও দুই মেয়ে। তারা মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শনিবার অবশ্য এক মেয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁর স্ত্রী ও আরেক মেয়ে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কন্যার অবস্থাও খুব একটা ভালো নয় বলেই জানিয়েছেন রওশন বাবু। তবে, কি কারণে এমনটা হলো কিছুই বুঝতে পারছেন না তিনি! এখনও অবধি তিনি নিজে সুস্থ আছেন, তবে আতঙ্কের মধ্যেই আছেন। শুক্রবার জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (২) ডাঃ জয়দেব বর্মনের নেতৃত্বাধীন স্বাস্থ্য দপ্তরের বিশেষ দল ওই গ্রাম পরিদর্শনে গিয়ে, ওই পরিবার থেকে খাদ্যদ্রব্য ও পানীয় জলের নমুনা সংগ্রহ করেছেন। কথা বলেছেন এলাকাবাসীর সাথে। নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের। কিছু নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ল্যাবরেটরিতে। কিছু নমুনা পাঠানো হয়েছে কলকাতায়। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ ভুবন চন্দ্র হাঁসদা জানিয়েছেন, “ওনার এক ছেলের মৃত্যু হয়েছে কলকাতায়। আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। স্ত্রী ও মেয়ে ভর্তি আছেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। আমরা সঠিক কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। প্রাথমিকভাবে খাদ্যে বিষক্রিয়া জনিত কারণই মনে হচ্ছে। কারণ, পানীয় জলে বিষক্রিয়া হলে অন্য পরিবারেও প্রভাব পড়তো। ওই পরিবারের খাদ্যদ্রব্যের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এলাকাবাসীকে সতর্ক করা হয়েছে এবং এলাকায় পর্যাপ্ত ওষুধ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে বিষয়টি নজরে রাখা হচ্ছে।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৩ ডিসেম্বর: 'উপত্যকা' দৈনিক পত্রিকার উদ্যোগে 'বাংলার গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন'…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ ডিসেম্বর: আমেরিকার অ্যারিজোনায় পাথুরে জমির মধ্যে বয়ে গিয়েছে…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ ডিসেম্বর: কুয়াশার চাদরে ঢাকল শহর মেদিনীপুর! শনিবার সন্ধ্যার…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ ডিসেম্বর: "শুনে আনন্দিত হলাম বনশুয়োরের বাচ্চাটি শালবনী থেকে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ ডিসেম্বর: সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেন নি। বিকেলে পুকুর…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২০ ডিসেম্বর: গত ৫ ডিসেম্বর 'রেল শহর' খড়্গপুরের বোম্বে…