দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৪ ডিসেম্বর: চোখ রাঙাচ্ছে ওমিক্রণ। প্রায় ঢুকে পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরেও। খড়্গপুর গ্রামীণের বাসিন্দা ইতালি ফেরত গবেষকের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ হওয়ার পর, ‘ওমিক্রণ’ সন্দেহে তাঁর নমুনা পাঠানো হলো কলকাতায়। গবেষককে ভর্তি করা হয়েছে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে। গত ১৩ ডিসেম্বর তিনি মাদপুরে নিজের বাড়িতে পৌঁছে ছিলেন। ৭ দিন বাড়িতে আইসোলেশনে থাকার পর তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হয়। বুধবার (২২ ডিসেম্বর) রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপরই নড়েচড়ে বসে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ ভুবন চন্দ্র হাঁসদা জানিয়েছেন, “ওনার নমুনা জিনম পরীক্ষার জন্য কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পজিটিভ এলে ওমিক্রণ কিনা বোঝা যাবে। তবে, এর আগে অনেকেরই এই পরীক্ষা হলেও, সকলেরই রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। আর, ওমিক্রণ নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সচেতন আছে। যদিও, নতুন এই ভেরিয়েন্ট সংক্রামক হলেও, মৃত্যুর হার একেবারেই কম”। এদিকে, জেলাজুড়ে একশো শতাংশ টিকা করণ সম্পূর্ণ করতে বদ্ধপরিকর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ মেনে, দাঁতন-১ নং ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তরের বিশেষ উদ্যোগে এবার দাঁতনের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ইঁট ভাটা গুলো’তে কর্মরত ভিন জেলা ও রাজ্যের শ্রমিকদের কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হল। লক্ষ্য একটাই এলাকায় থাকা প্রত্যেকের টিকাকরণ সম্পূর্ণ করা। তাই, দুয়ারে ভ্যাকসিন নিয়ে হাজির হচ্ছেন স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা। একপ্রকার খুঁজে খুঁজে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, এখনও যারা প্রথম অথবা দ্বিতীয় ডোজ নেননি তাঁদের।

thebengalpost.net
ইঁটভাটা :

সম্প্রতি, দাঁতন ১ নং ব্লকের বিভিন্ন ইঁট ভাটায় কর্মরত ভিন জেলা ও রাজ্যের শ্রমিকদের দেওয়া হল কোভিড ভ্যাকসিন। এই সমস্ত শ্রমিকরা নিজেদের ঘর-বাড়ি ছেড়ে ইঁট ভাটার কাজে যোগ দিয়েছেন পুরুলিয়া, বাঁকুড়া থেকে শুরু করে ঝাড়খণ্ড, বিহার প্রভৃতি রাজ্য থেকে এসে। এদের কেউবা প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন, কেউবা তাও নেননি! ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তর এগিয়ে না এলে হয়তো ডোজ সম্পূর্ণই হতনা তাঁদের। তবে, স্থানীয় প্রশাসন ও ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তর বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে, একেবারে ইঁট ভাটায় পৌঁছে গিয়ে ভ্যাকসিন প্রদান করল পুরুলিয়ার মহাবীর কিংবা ঝাড়খণ্ডের চক্রধর’দের। মহাবীর বললেন, “বর্ষার সময় ইঁট ভাটা বন্ধ ছিল। সেই সময় বাড়িতে ছিলাম। আগস্ট মাসে প্রথম ডোজ নিয়েছিলাম। দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া হয়নি! অনেক ধন্যবাদ, আমাদের কাছে এসে এভাবে ভ্যাকসিন দিয়ে গেলেন স্বাস্থ্যকর্মী দিদিরা”। স্বাস্থ্য দপ্তরের এই উদ্যোগে খুশি ইঁট ভাটার মালিকরাও।

thebengalpost.net
ভ্যাকসিন নিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা: