দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৭ ফেব্রুয়ারি: ভেজাল স্যালাইন কাণ্ডে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ‘মাতৃমা’ বিভাগে এক প্রসূতি ও এক সদ্যজাত শিশুর মৃত্যু ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য। গত ৮ জানুয়ারি, বুধবার রাতে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ‘মাতৃমা’ বিভাগে ঠিক কি ঘটেছিল? সেই বিষয়ে সিআইডি তদন্ত চলছে। তবে, সিজারের পরই পাঁচ প্রসূতির অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনায় নিষিদ্ধ সংস্থার স্যালাইন (রিঙ্গারস ল্যাকটেট/RL) প্রয়োগ এবং চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে ইতিমধ্যেই। এর মধ্যেই জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পর এবার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালেও একটি ১০০ শয্যার অত্যাধুনিক ‘মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব’ (বা, মাতৃমা) গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে। এছাড়াও, জেলার বেশ কয়েকটি গ্রামীণ হাসপাতালের পরিকাঠামোও ঢেলে সাজানোর কাজ চলছে বলে সোমবার সকালে জানিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক ডঃ সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী।
খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে (Kharagpur SDH) ‘মাতৃমা’ বিভাগ: জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক (CMOH) জানান, “সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালের একটি ১০০ শয্যার কোভিড ওয়ার্ড গড়ে তোলা হয়ছিল। নতুন এই চার তলা ভবনের শুধুমাত্র একটি তলাই এই মুহূর্তে প্রশাসনিক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা এই নতুন ভবনটিকেই মা ও শিশুদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করার পরিকল্পনা করে এগোচ্ছি। ওখানে মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব (মাতৃমা) হলে উপকৃত হবেন খড়্গপুর শহর সহ মহকুমাবাসী। ইতিমধ্যে, জেলাশাসকের অনুমোদন ক্রমে আমার PWD-কে দিয়ে এস্টিমেট করাচ্ছি। তারপর তা প্রস্তাব আকারে স্বাস্থ্য ভবনে পাঠানো হবে। আমাদের ফান্ডে আগে থেকেই যে অর্থ আছে, তা দিয়েই বেশিরভাগ কাজ হয়ে যাবে বলে আশা করছি।”
কি কি থাকবে নতুন এই মাতৃমা বিভাগে?
চার তলা ভবনের দোতলায় তিনটি ওটি রুম এবং একটি লেবার রুম থাকবে বলে জানিয়েছেন মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক। তিন তলা ও চার তলাতে যথাক্রমে প্রসূতি ও সদ্যজাতদের রাখা হবে। সবমিলিয়ে শয্যা সংখ্যা হবে ১০০টি। CMOH বলেন, মায়েদের জন্য ৮০টি ও শিশুদের জন্য ২০টি বেড রাখা হবে। সেই সঙ্গে তিনি এও জানিয়েছেন, পুরানো ভবনে আর স্ত্রী ও প্রসূতি ওয়ার্ড এবং শিশু বিভাগ রাখা হবেনা। সবটাই নতুন এই ভবনে সামান্তরিত করা হবে। পুরো বিষয়টিই আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে (বা পুজোর আগেই) সম্পূর্ণ করার ইচ্ছা আছে বলে জানিয়েছেন CMOH।
অন্যদিকে, জেলার নিম্নলিখিত হাসপাতালগুলির পরিকাঠামোও আমূল বদলে ফেলার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী। তিনি জানিয়েছেন-
১)ক্ষীরপাই গ্রামীণ হাসপাতালের রোগীদের চাপ থাকায় সম্পূর্ণ নতুন একটি ভবন তৈরি করা হচ্ছে। শয্যা সংখ্যা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৬০ করা হবে।
২) কেশিয়াড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৬০ করা হবে।
৩) আনন্দপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১০ শয্যার ইন্ডোর পরিষেবা চালু করা হবে।
৪)কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হবে।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ ফেব্রুয়ারি: "ওর বয়সী ছেলেরা যখন বিকেল হলেই মোবাইল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ ফেব্রুয়ারি: বৃহস্পতিবার ছিল মাধ্যমিকের শেষ পরীক্ষা (ভৌত বিজ্ঞান)।…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২০ ফেব্রুয়ারি: জেলার দুই প্রান্তে দুই দুর্ঘটনা! হঠাৎ অজ্ঞান…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ ফেব্রুয়ারি: গত দু'সপ্তাহে নজিরবিহীনভাবে দাম কমল মুরগির মাংস…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ ফেব্রুয়ারি: ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করেই মঙ্গলবার সাত সকালে…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৬ ফেব্রুয়ারি: মাধ্যমিক পরীক্ষার মাঝপথেই না ফেরার দেশে পাড়ি…