মণিরাজ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৪ ফেব্রুয়ারি: মার্চ মাস থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুর সহ প্রতিটি জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করবেন সংশ্লিষ্ট জেলাতে অবস্থিত মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা। প্রতি মাসে দু’বার এই শিবির অনুষ্ঠিত হবে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রতিটি ব্লকের প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে গিয়ে এই ‘দুয়ারে ডাক্তার’ (Duare Doctors) পরিষেবা দেবেন মেদনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। সোমবার রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে ভার্চুয়ালি একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর সন্ধ্যা নাগাদ স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী জানান, “সোমবার একটি বৈঠক হয়েছে। যেখানে কেশিয়াড়িতে অনুষ্ঠিত ‘দুয়ারে পিজি হাসপাতালের ডাক্তার’ এর সাফল্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এবার রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের তরফেই প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে এই ধরনের পরিষেবা দেওয়ার বিষয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

thebengalpost.net
কেশিয়াড়ির শিবিরের ছবি (ফাইল চিত্র, নিজস্ব):

প্রসঙ্গত, গত ৮ ও ৯ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশিয়াড়িতে রাজ্যের তরফে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ‘দুয়ারে পিজি হাসপাতালের ডাক্তার’ শিবির। সেই শিবির সফল হওয়ার পর সোমবার রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে পিজি হাসপাতাল সহ রাজ্যের প্রতিটি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, সুপার এবং প্রতিটি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে একটি বৈঠক করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি ডাঃ নারায়ণ স্বরূপ নিগম, পিজি হাসপাতালের অধিকর্তা ডাঃ মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার তরফে ছিলেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডাঃ মৌসুমী নন্দী প্রমুখ। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বৈঠকে কেশিয়াড়িতে অনুষ্ঠিত শিবিরের ভূয়সী প্রশংসা করেন রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব থেকে শুরু করে পিজি হাসপাতালের অধিকর্তা। এবার, ওই শিবিরের ধাঁচেই রাজ্যজুড়ে ‘দুয়ার ডাক্তার’ পরিষেবা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলার মেডিক্যাল কলেজগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়। জানা যায়, রাজ্যস্বাস্থ্য দপ্তরের সেই প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। মার্চ মাস থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুর সহ প্রতিটি জেলাতেই এই ধরনের শিবির অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।